Monday, February 3, 2014

সুস্থ থাকতে প্রতিদিন কলা খান


বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় একটি সুস্বাদু ফল হলো কলা। দেখতে আকর্ষনীয় এবং স্বাদে অতুলনীয় এই ফলটি ছোট বড় সবারই প্রিয় একটি ফল। কলার আছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান যা শরীর কে সুস্থ রাখে ও সতেজ রাখে। প্রতিদিন দুটি করে কলা খেলেই সারাদিনের পুষ্টির যোগান পাওয়া যায়।

কলার স্বাস্থ্য উপকারীতাঃ

যারা রক্ত শূন্যতায় ভুগছেন তাদের জন্য কলা খুবই উপকারী একটি ফল। কারণ কলায় প্রচুর পরিমাণে আয়রন আছে। কলায় আছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম। তাই নিয়মিত কলা খেলে হাড় ভালো থাকে। যারা নিয়মিত বুক জ্বালাপোড়ার সমস্যায় ভুগেন তাঁরা প্রতিদিন একটি করে কলা সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন সহজেই। মিনারেলে ভরপুর কলার খোসা দাঁতকে সাদা ঝকঝকে করে তুলে। কলায় ট্রিপ্টফ্যান আছে যা সেরোটনিনে রূপান্তরিত হয়ে মন ভালো করে দিতে সাহায্য করে। তাই নিয়মিত কলা খেলে বিষণ্ণতা দূর হয়। স্ট্রোক প্রতিরোধের জন্যেও কলা উপকারী।




প্রতিদিন ১টি টমেটো


টমেটোর স্যুপ কিংবা টমেটো ফ্লেভারের চিপসের ভক্ত অনেকেই। কিন্তু একটি টমেটো খেতে বলা হলে মুখ কুঁচকে না করেন সবাই। অনেকে রান্নায় টমেটো খেতে পছন্দ করেন। আবার স্বাস্থ্য সচেতন অনেকেই আছেন যারা টমেটো পছন্দ করেন না। কাঁচা বা সালাদ খেতে গেলে টমেটোর সাথে খানিকটা লবন ও অন্যান্য অনেক কিছু মিলিয়ে খেতেই পছন্দ করেন সকলে। কিন্তু এভাবে লবণ বেশী খাওয়া হয় বলে ডাক্তাররা নিষেধ করে থাকেন। টমেটোর সবচাইতে ভালো উপকারিতা পাওয়া যায় যদি কাঁচা খাওয়া যায়। প্রতিদিন অন্তত ১ টি কাঁচা টমেটো আপনার দেহকে অনেক শারীরিক সমস্যা থেকে রেহাই দেবে।

রাতকানা রোগ প্রতিরোধে টমেটো

টমেটোতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন এ। বাচ্চাদের ছোটবেলা থেকে প্রতিদিন ১টি কাঁচা টমেটো খাবার অভ্যাস করলে রাতকানা রোগের হাত থেকে রেহাই পাবে। এছাড়া চোখের দীর্ঘ দৃষ্টি ও ক্ষীণ দৃষ্টির সমস্যাও প্রতিরোধ করে টমেটো।

রক্ত স্বল্পতা ও রক্তের সমস্যা জনিত সমস্যা সমাধানে টমেটো

গবেষণায় দেখা যায় দিনে অন্তত ১ টি টমেটো খেলে তা দেহের ৪০% পর্যন্ত ভিটামিন সি এর অভাব পূরণ করে। টমেটোর ভিটামিন এ, পটাশিয়াম ও আয়রন রক্ত পরিশোধিত করে। এবং টমেটোর ভিটামিনকে রক্ত স্বল্পতা দুর করে ও হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে।

হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা কমায় টমেটো

টমেটোতে বিদ্যমান ‘লাইকোপেন’ দেহের কোলেস্টোরল কমাতে সহায়তা করে। এবং রক্ত সঞ্চালন ধমনীতে ফ্যাট জমতে বাঁধা দেয়। প্রতিদিন ১ টি টমেটো হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা কমায় প্রায় শতকরা ৬০ ভাগ। এবং ওজন কমাতেও অত্যন্ত সহায়ক।

ক্যান্সার প্রতিরোধে টমেটো

টমেটোতে বিদ্যমান প্রচুর পরিমানে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ‘লাইকোপেন’ হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা কমানোর পাশাপাশি ক্যান্সারের বিরুদ্ধে কাজ করে। সপ্তাহে ৫ টি টমেটো ফুসফুস, পাকস্থলী ও প্রস্ট্রেট ক্যান্সারের ৪০% পর্যন্ত ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।




ব্রণ পালাবে লবঙ্গের ঝাঁঝে


ত্বকে ব্রণ উঠলে কালো ছোপ ছোপ দাগ পড়ে। যা দেখতে একেবারে বেমানান লাগে। ব্রণের দাগ শুধু ত্বকের সৌন্দর্যকে ম্লানই করে না সেইসঙ্গে আত্মবিশ্বাসকেও কমিয়ে দেয়। ব্রণের দাগ দূর করার জন্য বাজারের নানা রকম কসমেটিকস পাওয়া যায়। কিন্তু হাতের কাছে থাকা প্রাকৃতিক লবঙ্গ ব্রণ দূর করার পাশাপাশি দূর করবে ব্রণের দাগ। ব্রণের উপর লবঙ্গ বাটা ২০ থেকে ২৫ মিনিট লাগিয়ে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে ব্রণের ক্ষত স্থানে দাগ হবে না। সপ্তাহে একবার লবঙ্গ বাটা ত্বকে লাগালে ত্বকে ব্রণ উঠবে না।
এছাড়া চন্দনের গুড়ার সঙ্গে লবঙ্গ বাটা লাগালে ত্বকের সব সমস্যা দূর হয়।
 





স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্যবর্ধক ভিন্ন স্বাদের শসার জুস


পানীয় খেতে তো সবাই ভালোবাসে। এক গ্লাস ঠান্ডা পানীয় যে কাউকেই নিমিষেই চাঙ্গা করে দেয়। আর তা যদি হয় স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী তাহলে তো কথাই নেই। এমনই একটি স্বাস্থ্যকর পানীয় হলো শসার পানীয়। একটি ভিন্ন ধরণের স্বাদের এই পানীয় খেতে শরীর নিমিষেই চাঙ্গা হয়ে যায় এবং ত্বক ও স্বাস্থ্য ভালো থাকে। এছাড়াও হজমের সমস্যা দূর করতে ভূমিকা রাখে এই পানীয়। আসুন জেনে নেয়া যাক শসার পানীয়ের সহজ রেসিপি।

উপকরণঃ
শসা কুচি ১ কাপ
পানি ২ কাপ
পুদিনা পাতা কুচি ২ টেবিল টামচ,
লেবুর রস ১ টেবিল চামচ
কাঁচা মরিচ ১টি (মিহি কুচি)
সবুজ ফুড কালার (ইচ্ছা)
লবণ পরিমাণ মত
বিট লবণ ১/২ চা-চামচ
ও বরফ কুচি পরিমাণমতো।

প্রস্তুত প্রণালী:
বরফ বাদে সব উপকরণ ব্লেন্ড করে ছেঁকে নিন। এবার ব্লেন্ডার থেকে সরবত গ্লাসে ঢালুন। গ্লাসে বরফ কুচি দিয়ে পরিবেশন করুন প্রাণ জুড়ানো ভিন্ন স্বাদের শসার পানীয়।
 




দাঁত সাদা করবে কলার খোসা


আচ্ছা, অতীত কালে তো ডাক্তার ছিল না। আর ছিল না নামকরা ব্রান্ডের পেস্ট ব্রাশ দাঁত মাজার জন্য। তাহলে কি তখন মানুষের দাঁত থাকতো হলদেটে আর দাগে ভরা? মোটেই না। মানুষের কাছে তখন ছিল হরেক রকম ঘরোয়া টিপস। আর তেমনই একটা হচ্ছে কলার খোসা দিয়ে দাঁত সাদা করা।

ভাবছেন এও কি সম্ভব? কিংবা ভাবছেন - "যাহ, সব ভুয়া"... তাই না? কিন্তু অসম্ভব নয়, আর মিথ্যাও নয়। কলার খোসা সত্যিকার অর্থেই বিজ্ঞান সম্মতভাবে আপনার দাঁত সাদা করতে সক্ষম। সুতরাং ভুলে যান দাঁতের ডাক্তারের কাছে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা খরচ করার ভাবনা, আর ঘরে বসেই নিজের দাঁত গুলোকে রাখুন ঝকঝকে। তবে হ্যাঁ, কাজটা করতে হবে সঠিক পদ্ধতিতে। আর আজ জানানো হচ্ছে সেটাই।

কলার খোসায় আছে প্রচুর পরিমাণে খনিজ উপাদান। বিশেষ করে পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম আর ম্যাঙ্গানিজ। আর এরাই হচ্ছে দাঁতকে সাদা করে তুলবার প্রধান হাতিয়ার। এছাড়াও কলার খোসায় আছে প্রচুর ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি, যারা কিনা দাঁতকে মজবুত করে তোলার পাশাপাশি খনিজ উপাদান গুলো শোষণ করতেও সহায়তা করে। কলার খোসা নিঃসন্দেহে সাদা করে তুলবে আপনার দাঁত, তবে ব্যবহার করতে হবে সঠিক পদ্ধতিতে এবং অবশ্যই নিয়ম মেনে। জেনে নিন বিস্তারিত পদ্ধতি।

প্রথমেই বেছে নিন সঠিক কলা। দাঁত সাদা করার জন্য ঠিক ভাবে পাকা কলা হওয়া জরুরী। খুব বেশি পাকাও নয়, খুব বেশি কাঁচাও নয়। এমন কলা বেছে নিন যার কিনা এখন নিচের দিকে একটু একটু সবুজ। কেননা এই ধরনের কলায় পটাশিয়াম থাকে উচ্চ মাত্রায়। আর এই পটাশিয়ামই দাঁত সাদা করার দায়িত্ব নেবে।
কলা উলটো করে ছিলে নিন। হ্যাঁ, যেভাবে আপনি ছিলে থাকেন কলা ঠিক তার উলটো দিক থেকে ছিলে নিন। দেখবেন যে কলার গায়ে লম্বা লম্বা সুতার মতন আঁশ থাকে। উলটো করে ছিলে নিয়ে এই আঁশ গুলো থাকবে খোসার সাথেই।
খোসা থেকে চারকোনা করে দুটি টুকরো কেটে নিন। আপনার সুবিধা মতন আকারেই কেটে নিন। চাইলে এই কাটা খোসা ফ্রিজেও সংরক্ষণ করতে পারেন।
এবার সকালে দাঁত ব্রাশ করবার পূর্বে এই কলার খোসার ভেতরের অংশটি দিয়ে আপনার দাঁত খুব ভাল করে ঘষুন। প্রথম টুকরোটি দিয়ে পুরো এক মিনিট ঘষুন। তারপর সেটা বদলে দ্বিতীয় টুকরোটি দিয়ে আরও এক মিনিট। অর্থাৎ পুরো দুই মিনিট দাঁতকে ঘষুন। দাঁতের প্রত্যেকটি অংশে যেন পৌছায় এমন ভাবে ঘষতে হবে।
দাঁত ঘষা হলে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন। ১৫ থেকে ২০ মিনিট করতে পারলে ভালো। এই সময়ে পানি বা অন্য কিছু খাবেন না, কিংবা কুলি করবেন না। সময়টা পেরিয়ে গেলে আপনার নিয়মিত ব্যবহারের টুথ পেস্ট দিয়ে দাঁত মেজে নিন।

এবার আয়নায় তাকিয়ে দেখুন তো, লাগছে না দাঁত একটু বেশি পরিষ্কার? ৪/৫ দিন এমন করার পরেই দেখবেন আগের চাইতে অনেক বেশি উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে আপনার দাঁত। হলদে ভাব যেমন কমে গেছে, তেমনি কালো ছোপটাও অনেকটাই সরে গেছে। যারা ধূমপান বা মদ্যপান করেন, তাদের ক্ষেত্রেও কাজ করবে এই পদ্ধতি। তবে ব্যবহার করতে হবে বেশ দীর্ঘদিন। এবং সঠিক নিয়েম মেনে।

অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে-

এটা কোনও ম্যাজিক নয়। তাই ভালো ফল পেতে নিয়ম মেনে ব্যবহার করতে হবে। অবশ্যই কমপক্ষে ২ মিনিট ঘষতে হবে। এই সময়টা জরুরি। বেশি ঘষলে আরও ভালো। ঘষার পর অবশ্যই সময় দিতে হবে খনিজ গুলো দাঁতে শোষিত হবার। যাদের দাঁত মদ্যপান, ধূমপান বা অসুস্থতার কারণে হলুদ তাদের ক্ষেত্রে একটু সময় লাগবে। কলার খোসায় প্রচুর পরিমাণে চিনি থাকে। তাই অবশ্যই দাঁত খুব ভালভাবে মেজে নিতে হবে। এবং এই কারণেই দিনে ১ বারের বেশি ব্যবহার করা যাবে না। যাদের দাঁত খুব একটা বেশি হলুদ নয়, তারা সপ্তাহে একবার ব্যবহার করুন।

অনেকেই বলবেন যে কাজ হয় না, ভুয়া ইত্যাদি। কিন্তু মোদ্দা কথাটা হলো হয় তারা চেষ্টা না করেই বলেছেন, কিংবা চেষ্টা করলেও সঠিক ভাবে করেননি। ফল পাবার জন্য অবশ্যই নিয়ম মেনে প্রয়োগ করতে হবে। আর তাই অন্য লোকের কথা শোনা বাদ দিয়ে নিজেই চেষ্টা করে দেখুন না! চেষ্টা করতে তো কেবল একটা কলাই লাগছে, তাই না ?





 

1 comment:

  1. Casino Vlas Vegas Hotel & Casino - MapYRO
    The casino 과천 출장안마 boasts 20 table games, 경상북도 출장샵 and the main casino floor boasts 밀양 출장안마 over 1,500 slot machines. The casino has 1,500 제주 출장샵 slots and 25 table 논산 출장마사지 games and is owned and operated by

    ReplyDelete