Monday, February 3, 2014

পারফেক্ট ফিটনেসের জন্য এনার্জি ডায়েট



আমরা বাঙালিরা অনেকেই না জেনে অনেক ভুলভাবে খাওয়াদাওয়া করছি। কিন্তু একটু জেনে-বুঝে খেলে অনেক সুন্দর স্বাস্থ্য রক্ষা করা যায়। তাই আপনাদের জন্য কিছু ভালো ডায়েট টিপস দেওয়া হলো—এগুলো প্রতিদিন সঠিকভাবে খাবার খাওয়ার জন্য খুবই দরকারি।

ডায়েটিং কী?

ডায়েটিং মানে আমাদের প্রতিদিনের খাদ্যগুলোকে পরিমিত ও সুষমভাবে খাওয়া। সাধারণত ওজন কমানো ও ওজনকে স্থিরভাবে ধরে রাখার জন্য ডায়েটিং করা হয়। সুস্থ ও স্লিম থাকার জন্য ডায়েটিং করা দরকার। সে ক্ষেত্রে কম শর্করা, কম ক্যালোরি, কম ফ্যাটযুক্ত খাবার খেতে হবে। প্রতিদিনের ডায়েট চার্টে সব ধরনের খাদ্য উপাদান অর্থাত্ ভিটামিন, শর্করা, আমিষ, ফ্যাট, মিনারেল, ফাইবার, পানি ইত্যাদি থাকলেই সেটা হবে আদর্শ ডায়েট।

প্রতিদিনের এনার্জি ডায়েট টিপস

* প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা জরুরি। মহিলাদের জন্য প্রতিদিন কমপক্ষে ৮ গ্লাস (২ লিটার), পুরুষদের জন্য ১২ গ্লাস (৩ লিটার) পানি খেতে হবে। এটি সারাদিনের সব রকমের পানীয়ের হিসাব। তবে যারা ব্যায়াম করেন, তারা আরও বেশি পানি পান করবেন।
* রাতের খাবার ঘুমানোর তিন ঘণ্টা আগে খেতে হবে। কারণ, রাতে ঘুমানোর সময় ক্ষুধা লাগলে কিছু না খাওয়াই ভালো, তবে ননী বা ফ্যাট ছাড়া দুধ খেতে পারেন।
* খাবারে শর্করার পরিবর্তে সবজি ও ফল রাখা দরকার, কারণ এগুলোতে আছে প্রচুর ভিটামিন, ফাইবার।
* সালাদ বেশি বেশি খাওয়া, দুপুর ও রাতের খাবারের সাথে অবশ্যই সালাদ থাকবে ।
* মাছ অবশ্যই খেতে হবে, মাংস কম খেয়ে মাছ বেশি খেলে ভালো। লাল মাংস, যেমন গরুর মাংস না খাওয়া ভালো ।
* সাদা আটার রুটি না খেয়ে লাল আটার রুটি খাওয়া ভালো। কারণ লাল আটা শরীরের জন্য খুবই উপকারী। তেমনি সাদা শর্করা, যেমন সাদা চালের ভাত বাদ দিয়ে লাল চাল খাওয়া ভালো।
* কাঁচা ছোলা প্রতিদিন খাওয়া অভ্যাস করতে হবে। কারণ এগুলোতে আছে কম ফ্যাট এবং কোলেস্টেরল কমানোর উপাদান রয়েছে। তা ছাড়া ভিটামিন বি আছে এগুলোতে। যা হজম শক্তি বাড়ায়, কোষ্ঠকাঠিন্য কমায়।
* ঘুমানোর আগে দুধ খাওয়া উচিত, অবশ্যই ননীবিহীন দুধ।
* প্রতিদিন টক দই খাওয়া, চিনি ছাড়া।
* মহিলাদের জন্য ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবার :দুধ, টক দই প্রতিদিন খেতেই হবে।
* ভাত কম খেয়ে সবজি, ফল, সালাদ বেশি খাওয়া।
* প্রতিদিনে ৫-৬ বার খাওয়া।
* দুই, তিন ঘণ্টা পর পর ২০০-৩০০ ক্যালোরি খাওয়া সবচাইতে ভালো অভ্যাস।
* ভাজা পোড়া, বেশি ক্যালোরিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলা।
* প্রাণিজ আমিষ সব সময় না খেয়ে উদ্ভিজ আমিষ বেশি খাওয়া। কারণ উদ্ভিজ আমিষে ফ্যাট কম থাকে।
* প্রতিদিন একমুঠো কাঠবাদাম খাওয়া, এতে ত্বকের সৌন্দর্য বাড়ে, কোলেস্টেরল কমে।
* প্রতিবার খাবারে আমিষ খেতে হবে পরিমাণমতো। আমিষ হতে পারে—মাছ, সাদা মাংস (মুরগির মাংস ইত্যাদি), বিনস, বাদাম, ডাল, পনির, দই ইত্যাদি। কারণ আমিষে শর্করার তুলনায় কম ক্যালোরি থাকে, এটা পেট ভরা রাখে ও ওজন কমাতে সাহায্য করে। এটা পেশি গঠনেও সহায়তা করে।
* বেশি তেল ও মসলাযুক্ত খাবার বাদ দিতে হবে। তবে মসলা ভালো, বিভিন্ন রকম মসলার বিভিন্ন গুণাগুণ আছে। তবে পরিমাণমতো দিয়ে রান্না করতে হবে।
* ভাজা-ভুনা নয়, সিদ্ধ, কম আঁচে রান্না করতে হবে।
* খাবারের মেন্যুতে প্রচুর ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার, যেমন—লাল আটা, শাক, বিনস, সালাদ, সবজি, ফল রাখুন। কারণ ফাইবার ওজন কমায়, হজমশক্তি বাড়ায় এবং কোলেস্টেরল কমায়। মহিলাদের জন্য ২১-২৫ গ্রাম এবং পুরুষদের জন্য ৩০-৩৮ গ্রাম ফাইবার খেতে হবে প্রতিদিন।
* খাবারের সাথে অতিরিক্ত লবণ না খাওয়া। কারণ অতিরিক্ত লবণ শরীরে পানি আনে, ব্লাড প্রেসার ও ওজন বাড়ায়। রান্নাতেই অনেক লবণ থাকে, বাড়তি লবণ খাওয়ার দরকার নেই।

৭টি বিচ্ছিরি জেদি দাগ তোলার সহজতম উপায়

বিয়ে বাড়ি বা অন্য দাওয়াতে আপনার সবচাইতে প্রিয় পোশাকটি পরে গেলেন, কিন্তু সেই পোশাকেই মাংসের ঝোল পড়ে সাধের জামার একদম বারোটা বেজে গেল। অথবা চায়ের কাপটা উল্টে গিয়ে বেড শিটে বিশ্রী দাগ পড়ে গেল আচমকা। এরকম বিভিন্ন দাগের সমস্যায় আমরা প্রায়ই নাজেহাল হই। যেমন, তেল-ঝোলের দাগ, চায়ের দাগ, লিপস্টিক কিংবা পানের পিকের বিচ্ছিরি দাগ। তবে এখন আর চিন্তার কিছু নেই। লন্ড্রিতে দৌড়াতে হবে না, বাড়িতেই খুব সহজে এইসব জেদি দাগের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। আসুন জেনে নেই উপায়গুলো ।

তেলের-ঝোলের যন্ত্রণা-

কাপড়ে খাবার পড়ে তেলের দাগ হয়ে গেলে দাগের জায়গাটিতে ট্যালকম পাউডার ছড়িয়ে দিন। ওই অংশটির ঠিক নিচের দিকে একটি ব্লটিং পেপার রাখুন। এবার আরও কিছুটা পাউডার নিয়ে দাগের জায়গাটিতে ভালো করে ঘষে লাগান। এতে দাগ অনেকটাই উঠে যাবে। বাকি হলুদ ভাব তোলার জন্য ডিটারজেন্ট পানিতে ঘন করে গুলে নিয়ে দাগের উপর মাখিয়ে কাপড়টা রোদে শুকাতে দিন। কিছু সময় পর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন, দাগ উঠে যাবে ।

কার্পেটে খাবার পড়ে গেলে-

কার্পেটে খাবার পড়ে দাগ হলে ১ টেবিল চামচ সাদা ভিনিগার ২ কাপ হালকা গরম পানিতে গুলে নিয়ে দাগের জায়গাটায় স্প্রে করুন, তারপর পরিষ্কার শুকনা কাপড় দিয়ে ঘষে মুছে নিন। দেখবেন দাগ উঠে যাবে ।

চা কফির বিচ্ছিরি দাগ-

বিছানার চাদর, টেবিল ক্লথে চা বা কফি পড়ে গেলে চট জলদি কিছুটা ট্যালকম পাউডার দাগের জায়গাটায় ছিটিয়ে দিন। ২-৩ ঘণ্টা এভাবেই রেখে দিন, এতে পাউডার চায়ের দাগ টেনে নেবে । তারপর সাবান পানি দিয়ে কাপড়টি ধুয়ে ফেলুন ।

লিপস্টিকের জেদি দাগ গুলো-

কাপড়ে অনেক সময় লিপস্টিকের দাগ লেগে যায়, যা সহজে উঠতে চায় না । লিপস্টিকের দাগ তোলার জন্য গ্লিসারিন দিয়ে দাগের উপর কিছু সময় ঘষে নিয়ে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন, দাগ ম্যাজিকের মতো উধাও হয়ে যাবে।

পানের পিক-

জামা কাপড় থেকে পানের পিকের দাগ তুলতে দাগের তলায় এক টুকরা পুরানো কাপড় রেখে আলু দিয়ে দাগের জায়গাটি ঘষে নিন, দাগ সহজে উঠে যাবে ।

যে কোনো দাগে মুলতানি মাটি-

ভিনিগার আর মুলতানি মাটির মিশ্রণ কাপড়ের যে কোনো দাগ তোলার জন্য দারুন উপকারী। মিশ্রণটি দাগের উপর লাগিয়ে নিন, শুকিয়ে গেলে ভেজা কাপড় দিয়ে ঘষে তুলে ফেলুন ।

No comments:

Post a Comment