Monday, January 6, 2014

ঔজ্জ্বল্য বাড়াতে


০ ত্বকের রং উজ্জ্বল করতে হলুদ বাটা ও চন্দনের গুঁড়া মিশিয়ে লাগান।

০ কাঁচা হলুদ বাটা, ময়দা ও দুধের সর একসাথে মিশিয়ে ভালো করে মুখে মাখুন। ১৫ মিনিট পর মুখ ধুয়ে ফেলুন।

০ মধু, জলপাই তেল, চন্দন বাটা ও এক চিমটে হলুদের মিশ্রণ মুখে মাখালে ত্বক উজ্জ্বল হয়ে উঠবে।

০ শসার রস মুখে লাগিয়ে পাঁচ-সাত মিনিট রাখার পর এক কাপ পানিতে অর্ধেক পরিমাণ লেবুর রস মিশিয়ে সে পানিতে তুলো ভিজিয়ে তা দিয়ে শসার রস তুলে ফেলতে হবে।

০ তৈলাক্ত ত্বকের ক্ষেত্রে দইয়ের সঙ্গে লেবুর রস মিলিয়ে সারা মুখে মেখে রাখুন। তারপর কয়েক মিনিট পর ভেজা তুলো দিয়ে মুছে ফেলুন।

০ গোলাপ, পুদিনা, আমলা, বাঁধাকপি ও শসার নির্যাস একসাথে মিশিয়ে টোনার তৈরি করে মুখে লাগালে তা ত্বককে মসৃণ করে তোলে।

০ ত্বকের হারানো ঔজ্জ্বল্য ফিরিয়ে আনার জন্য আমন্ড, বাদামি গোলাপের পাপড়ি এবং দুধের সর দিয়ে বেটে মুখে লাগান।

০ ত্বককে টানটান করার জন্য ত্বকে লেবুর খোসা ঘষুন। লেবুর খোসায় উপস্থিত অ্যাসিটনজেন্ট লোমকূপ বন্ধ করে ত্বককে টানটান করে।

০ ত্বকে যদি অন্যরকম এক আভা নিয়ে আসতে চান তাহলে মসুর ডাল বাটা, নিম পাতা বাটা, কাঁচা হলুদ বাটা, দই মধু একসঙ্গে মিশিয়ে পুরো মুখে লাগিয়ে রাখুন। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন।



ব্রণ সমস্যা সমাধান

ব্রণ সমস্যায় ৭ টি জাদুকরী সমাধান!
ব্রণ সমস্যা নেই এমন মানুষ বিরল। মুখ ভর্তি ব্রণের যন্ত্রণায় অনেকেই বিপদে আছেন। কতো ওষুধ খেয়েছেন, এটা ওটা মুখে মেখেছেন কিন্তু কোনো কিছুতেই কোনও লাভ হচ্ছে না। ব্রণ তো কমেই নাই বরং বিচ্ছিরি দাগ ও গর্ত হয়ে গেছে। খুব সহজেই ব্রণের উপদ্রব অনেকটাই কমিয়ে ফেলতে পারবেন ঘরোয়া ৭টি উপায়ে। তাহলে জেনে নেয়া যাক ব্রণ সমস্যা দূর করার যাদুকরী পদ্ধতিগুলো।
*সকাল বেলায় মধু দিয়ে মুখ পরিষ্কার করুন
মধুর অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান ত্বককে ব্রণ মুক্ত করে। তাছাড়া মধু ত্বকের আদ্রর্তা ধরে রাখে এবং ত্বককে অতিরিক্ত তেল থেকে মুক্ত করে।
প্রথমে হাত ভিজিয়ে নিন। এবার হাতের তালুতে আধা চা চামচ মধু নিয়ে নিন। তারপর হাতের তালু ঘষে মধু গরম করে নিন। এরপর পুরো মুখে মধু ম্যাসাজ করে নিন ২ মিনিট ধরে। ঠান্ডা পানি দিয়ে পুরো মুখ ধুয়ে নিন কয়েকবার করে।
*রাতে জলপাই তেল ম্যাসাজ করুন
আপনার ত্বক তৈলাক্ত কিংবা শুষ্ক যাই হোক না কেনো প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে জলপাই তেল দিয়ে পরিষ্কার করলে ত্বক মসৃণ হয় এবং ধীরে ধীরে ব্রণের উপদ্রব কমে যায়।
প্রথমে হাতের তালুতে জলপাই তেল নিয়ে দুই হাতে ঘষে তেল কিছুটা গরম করে নিন। এবার এই তেলটা পুরো মুখে ভালো করে ম্যাসাজ করে নিন নিচের থেকে উপরের দিকে। এভাবে প্রায় ২ মিনিট ধরে মুখ ম্যাসাজ করুন। এভাবে ম্যাসাজ করলে ত্বক থেকে মেকআপ এবং ময়লা উঠে আসবে ভালো করে। এরপর কুসুম গরম পানিতে টাওয়েল ভিজিয়ে মুখের অতিরিক্ত তেল মুছে নিন ভালো করে। এভাবে প্রতিদিন রাতে মুখ পরিষ্কার করে নিলে ব্রণ ওঠা ধীরে ধীরে কমে যাবে।
*গোলাপ জলের টোনার
প্রতিদিন মুখ ভালো করে ধুয়ে নেয়ার পরে ত্বকের লোমকূপ বন্ধ করার জন্য টোনার ব্যবহার করা জরুরী। কারণ লোমকূপ খোলা থাকলে ময়লা ঢুকে ব্রণের উপদ্রব বৃদ্ধি করে। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে গোলাপ জল বেশ কার্যকারী টোনার হিসেবে কাজ করে।
পানিতে গোলাপ জল মিশিয়ে ফ্রিজে রেখে বরফ বানিয়ে নিন। সকালে বাইরে যাওয়ার আগে অথবা বাসায় ফিরে মুখ ধোয়ার পর এই বরফ দিয়ে পুরো মুখ ঘষে নিন। ত্বক দীর্ঘ সময় ধরে তেল মুক্ত থাকবে এবং লোমকূপগুলো বন্ধ হবে। বরফ হিসেবে ব্যবহার করতে না চাইলে তুলায় গোলাপ জল লাগিয়ে মুখটা মুছে নিলেও টোনারের কাজ হবে।
*স্ক্র্যাবার হিসেবে বেকিং সোডা
আমাদের ত্বকে মরা চামড়া ও ব্ল্যাক হেডস জমে। এগুলোর জন্য ব্রণ হয় এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা হারায়। তাই ত্বককে মাঝে মাঝে স্ক্র্যাবিং করতে হয়। এক্ষেত্রে বেকিং সোডা বেশ ভালো স্ক্র্যাবার।
প্রথমে বেকিং সোডা ও সামান্য পানি মিশিয়ে নিন। এবার এই মিশ্রণটি সারা মুখে, ঘাড়ে ও গলায় ভালো করে ম্যাসাজ করে নিন। এক মিনিট ম্যাসাজ করার পরে হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে তিন বার এই পদ্ধতি অনুসরণ করলে ব্রণের উপদ্রব কমে যাবে, ব্রণের দাগ কমবে এবং ব্ল্যাক হেডস দূর হবে।
লাইক দেন বা নাই দেন আপনারা আমাদের পোস্টগুলো পড়ে উপকৃত হলেই আমাদের লিখা স্বার্থক। কারন আপনাদের সুখী জীবনই আমাদের কাম্য। 


ত্বক ফর্সা করতে কয়েকটি টিপস্‌


ত্বক ফর্সা বা কালো হওয়ার বিষয়টি নির্ভর করে মেলানিনের উপর। এর অধীক বেশি হলে গায়ের রং কালো আর কম হলে ফর্সা হয়ে থাকে। আজ প্রাকৃতিক উপায়ে ত্বক ফর্সা করার কয়েকটি টিপস্‌ দেওয়া হলো।


তবে প্রাকৃতিক কিছু উপাদানে রয়েছে এনজাইম ও হরমোন যা ত্বকের কোষ সুস্থ্য করে ত্বককে করে তোলে উজ্জ্বল। ত্বকের রং ফর্সা করতে মুখে দই লাগাতে পারেন। ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে অন্তত ৩ দিন এরকম লাগাতে হবে।

# নিয়মিত দুধ দিয়ে মুখ মুছলেও ত্বক ফর্সা হয়।

# অয়েলি স্ক্রিনের জন্য লেবুর রস ও ডিমের সাদা অংশ সমপরিমাণে মিশিয়ে মুখে ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। ত্বক উজ্জ্বল না হয়ে পারেই না।

# সারা গায়ের রং উজ্জ্বল করতে ব্যাসন। দই আর সামান্য হলুদ মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন। গোসলের সময় সাবানের পরিবর্তে এটি নিয়মিত ব্যবহার করুন।

# অনেক সময় হাত-পা-হাঁটু ও কণুইয়ে কালো ছপ পড়ে। এক্ষেত্রে আধা কাপ পেঁপের সাস এক চা চামচ তরমুজের রস, এক চা চামচ লেবুর রস ডিমের সাদা অংশ, এক চা চামচ মধু একসঙ্গে মিশিয়ে ওইস্থানে লাগান। শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত রাখুন। এরপর ধুয়ে ফেলুন।

# সুষ্ক ত্বকের জন্য। দুই চা চামচ কাঁচা দুধ, আলুর রস ঠাণ্ডা করে ব্যবহার করুন ক্লিঞ্জার হিসেবে। যাদের ত্বক তৈলাক্ত তারা মুগের ডাল গুড়ো সামান্য পানিতে মিশিয়ে প্রত্যেক সপ্তাহে একদিন করে মুখ স্ক্রাব করুন। এটি ত্বকের উপরের মরা কোষের পরত (আবরণ) দূর করবে।

# আধা টুকরা পাকা কলা নিন। ভালোভাবে চটকে নিয়ে এতে কয়েক ফোটা শষার রস মেশান। মুখে-গলায় লাগিয়ে রাখুন আধা ঘণ্টা। তারপর ধুয়ে ফেলুন।

# মধু ও কয়েক ফোটা লেবুর রস মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে রাখুন ১৫ মিনিট। মধু যখন আপনার ত্বক উজ্জ্বল করবে- লেবুর প্রাকৃতিক ব্লিচিং গুণ তখন ত্বককে করবে আরও ফর্সা।
 

No comments:

Post a Comment