Saturday, January 4, 2014

কমলালেবুর খোসা

কমলা লেবুর খোসায় ৬টি দারুণ ঘরোয়া চিকিৎসা! কমলালেবু খাওয়ার পর সাধারণত আমরা এর খোসা ফেলে দেই। আমরা অনেকেই জানি না এই কমলার খোসা পুষ্টিগুনে আপেলের খোসারই মত উপকারি। বরঞ্চ কমলার খোসা একটু বেশিই গুনাগুন সম্পন্ন। কমলালেবুর খোসায় রয়েছে অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টি-ফাঙ্গাল উপাদান যা আমাদের বিভিন্ন ধরনের পেটের সমস্যা, কাশি বা অ্যাজমার সমস্যা ও লিভারের সমস্যা থেকে রক্ষা করে। দূর করে কফ ও পিত্ত সমস্যা- কমলার খোসার তিতকুটে রসের অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য এটি কফের সমস্যা ও পিত্তের যে কোন ধরনের সমস্যা দূর করে। পাতলা করে কমলার খোসা ছিলে নিন ভেজিটেবল পিলারের সাহায্যে, যেন নিচের সাদা অংশ না আসে। কিংবা গ্রেটারে ঘষে নিন, মিহি কুচি পাবেন। এই খোসার কুচি রঙ চা তৈরির সময় দিয়ে দিন। সাথে দিন অল্প একটু আদা। একটু ফুটিয়ে আদা ও কমলার গন্ধ ছড়ালেই পান করুন চায়ের মত। সাথে দিতে পারেন মধুও। কফ ও পিত্তের সমস্যার প্রতিকার হবে। পেটের সমস্যায় অত্যন্ত কার্যকর- কমলালেবুর খোসা হজমের সমস্যার সমাধান করে এবং পেটের সমস্যা সরিয়ে ফেলা হয়। এছাড়া কমলার খোসা গ্যাস, অম্বল , বমি এবং আম্লিক উদ্গিরণ অপসারণ করতে সাহায্য করে। ক্ষুধা মন্দা এবং বমি বমি ভাব দূর করতে কমলার খোসার জুড়ি নেই। প্রতিদিন সকালে খোসার মিহি কুচি এক চা চামচ পরিমাণ মধুর সাথে খেয়ে নিন। কিংবা যোগ করতে পারেন ফ্রুট সালাদেও।

অ্যাজমা ও কাশির সমস্যায়-
কমলার খোসা গুঁড়ো কাশির সমস্যা দূর করে। কমলার খোসা শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা ও অ্যাজমা উপশমে কাজে লাগে। এসব কষ্ট থেকে মুক্তি পেতে নিয়মিত পান করুন কমলার খোসায় তৈরি চা। কিংবা কমলার খোসা দিয়ে মোরব্বা বা টফি তৈরি করে রাখুন। প্রতিদিন সকালে এই টফি চা পানের সময় ভালো করে চিবিয়ে খান।

অ্যাসিডিটি দূর করে-
কমলার খোসার তৈরি তেলে রয়েছে অ্যান্টি-মাইক্র োবিয়াল ও অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি যা পেটের অ্যাসিডিটি দূরীকরণে সহায়তা করে। এছাড়া এই তেলে রয়েছে ডি-লিমোনেন যা অন্ত্রের স্বাভাবিক আন্দোলন বজায় রাখে ও লিভার ফাংশন স্বাভাবিক রাখে। অ্যাসিডিটির সমস্যায় কমলার খোসায় তৈরি এসেনশিয়াল ওয়েল পানিতে দু ফোঁটা মিশিয়ে পান করুন।

ওজন কমাতে সহায়ক-
গবেষণায় দেখা যায় কমলালেবুর খোসা কলেস্টেরল এবং ট্রাইগ্লিসেরাইড দ্রবীভূত পারে। ফলে যাদের উচ্চমাত্রায় কোলেস্টেরলের সমস্যা আছে এবং যারা ওজন কমাতে চান তাদের জন্য কমলার খোসা অনেক কার্যকরী। জ্যাম, জেলি বা মারমালেড এর সাথে প্রতিদিন সকালে খেয়ে নিন তাজা কমলার খোসা। কিংবা পান করুন এই খোসার উপকারিতায় ভরা চা। ক্যান্সার ও হাড়ের রোগ প্রতিরোধ করে- এছাড়া কমলার খোসায় একটি ফ্লেভোনয়েড রয়েছে যা ‘হেস্পিরিডিন’ নামে পরিচিত। এবং এটি কোলন ক্যান্সার এবং অস্টিওপরোসিস বিরুদ্ধে কাজ করে।

অনিদ্রা দূর করতে-
কমলার খোসা গোসলের পানিতে ব্যবহার করলে এটি অনিদ্রা দূর করে। খোসা গুলো কাঁটাচামচ দিয়ে ভালো করে কেঁচে নিন। তারপর গরম পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। পানির তাপমাত্রা কুসুম গরম থাকতে থাকতে গোসল সেরে নিন। চাইলে মিশিয়ে দিতে পারেন খোসায় তৈরি এসেনশিয়াল অয়েলও।





গাজরের জুস

গাজরের সালাদতো আমরা সবাই খেয়েছি। গাজরের তৈরি হালুয়া, ফিরনি, লাড্ডু আরো কত কি। কিন্তু গাজরের জুস কি খেয়েছেন কখোনো? গাজরের জুস অত্যন্ত পুষ্টিকর ও খেতেও মজাদার। আসুন তাহলে জুস বানানোর রেসিপিটা দেখে নেয়া যাক।

গাজরের জুসের উপকারীতাঃ
• গাজরের জুস শরীরে ভিটামিন এ, বি ভিটামিন ও ভিটামিন এ সরবরাহ করে। এছাড়া গাজরের জুসে মিনারেল ও আছে।
• চোখ, হাড়, লিভার, দাত ও নখের জন্য গাজরের জুস অত্যন্ত উপকারী।
• ত্বক মসৃণ করে এবং চুলের স্বাস্থ্য ভালো করে।
• ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে।
• কারো কারো মতে গাজরের জুস শরীরের ওজন কমাতে সহায়ক।

যেভাবে বানাবেনঃ
এক গ্লাস জুস বানাতে লাগবে একটি গাজর ও আধা গ্লাস ঠান্ডা পানি। গাজর প্রাকৃতিক ভাবেই মিষ্টি। তাই এই জুস বানাতে চিনির প্রয়োজন হয় না। কেউ যদি বেশি মিষ্টি খেতে চান তাহলে ১ চা চামচ চিনি দিতে পারেন।
গাজর কুচি করে কেটে নিন। পানি, চিনি(যদি লাগে) ও কুচি করা গাজর এক সাথে ভালো করে ব্লেন্ড করুন। ছাঁকনি দিয়ে ছেকে গাজরের পাল্প গুলো আলাদা করে ফেলুন। গ্লাসে ঢেলে পরিবেCarrotশন করুন ঠান্ডা ঠান্ডা গাজরের জুস।
ভিটামিন, মিনারেল, অ্যান্টি অক্সিডেন্টসহ বিভিন্ন উপাদানে সমৃদ্ধ গাজরকে স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর একটি সবজি হিসেবে ধরা হয়ে থাকে। সকালের নাস্তার মেনুতে গাজরের জুস খেতে পারেন। তাহলে সারাদিন সতেজ থাকবেন ও পুষ্টি পাবেন। গাজরের জুস দেখতে বেশ সুন্দর। তাই পরিবেশনের সময় স্বচ্ছ গ্লাসে ঢেলে পরিবেশন করুন। তাহলে দেখার সাথে সাথে খেতে আরও বেশি মজা পাবেন।






No comments:

Post a Comment