Friday, January 10, 2014

ভুড়ি কমাতে ৫ টি নিয়ম


ভুঁড়ি হওয়া ঠেকাতে চান? তাহলে অবশ্যই মেনে চলুন এই ৫টি নিয়ম

 কেউই চান না তার সুন্দর দেহের সাথে একটি ভুঁড়ি যোগ হোক। আগে যদিও ভুঁড়ি হওয়াকে ধরা হতো সুখী মানুষের লক্ষণ হিসেবে, কিন্তু বর্তমানের প্রেক্ষাপটে ভুঁড়িকে বাদ দিলেই দেহে সৌন্দর্য বৃদ্ধি হয়। সেজন্য নিজের দেহে যারা একখানা ভুঁড়ি যোগ করতে চান না, তারা অনেকেই অনেক পদক্ষেপ নিয়ে থাকেন। বিশেষ ডায়েট, ব্যায়াম, পরিমিত খাওয়া, ইত্যাদি সহ আরও অনেক কিছু করে থাকেন অনেকে মুটিয়ে যাওয়া থেকে বাঁচতে। তার পরও ভুঁড়ি যেন বাঁধা মানে না। তাহলে দেখে নিন কিভাবে নিজের দেহে একটি বিচ্ছিরি ভুঁড়ি যোগ করা থেকে বাঁচতে পারেন তার উপায়।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করুন

কোষ্ঠকাঠিন্য হচ্ছে ভুঁড়ি হওয়ার প্রথম ধাপ। খাবারে যদি অনেক কম ফাইবার ও তরল থাকে এবং কম শারীরিক পরিশ্রম হয়,তবে কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেয়। যার ফলাফল পেটে ভুঁড়ি হওয়ার মাধ্যমে পাওয়া যায়।

তাই শরীরে ভুঁড়ি দেখতে না চাইলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করুন। দিনে মহিলাদের জন্য ২৫ গ্রাম ও পুরুষদের জন্য ৩৮গ্রাম ফাইবার খাওয়া উচিত। আঁশযুক্ত ফল, শাকসবজি ও বাদামে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। ৬-৮ গ্লাস তরল জাতীয় খাবার পান করলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। এবং অবশ্যই শারীরিক পরিশ্রম করবেন। ব্যায়াম করতে পারলে ভালো হয়। সপ্তাহে অন্তত ৫ দিন ৩০ মিনিট করে ব্যায়াম করবেন।
দ্রুত খাবার খাবেন না

খাবার খুব দ্রুত খেলে এবং ভালো মত চিবিয়ে না খেলে খাবারের সাথে বাতাসও পেটে প্রবেশ করে। এতে করে আপনার পেট বাড়ে অর্থাৎ ভুঁড়ি হয়। দ্যা ফ্লেক্সিটেরিয়ান ডায়েটের লেখক ব্রাউন জ্যাকসন বলেন, খাবার অতি দ্রুত খাবেন না, ভালো মতো চিবিয়ে খান। মনে রাখবেন খাবার হজম হওয়ার প্রকিয়াটি মুখের থেকেই শুরু হয়। আপনি যত চিবিয়ে খাবেন তত হজমের সুবিধা হবে ও আপনার পেটে ফ্যাট কম জমা হবে।
কোমল পানীয় বেশি খাবেন না

যারা কোমল পানীয় বেশি খান তারা খুব সহজে নিজের দেহে একটি ভুঁড়ি যোগ করে থাকেন। কোমল পানীয়ের কার্বন-ডাইঅক্সাইড পেটে গ্যাসের সৃষ্টি করে ও পেটেই রয়ে যায়। এই গ্যাস না বের হবার ফলে ভুঁড়ি হয়। যতটা সম্ভব কোমল পানীয় এড়িয়ে চলুন। তার পরিবর্তে লেবুর সরবত খান।

আর যদি ভুঁড়ি কমাতে চান তবে আজকে থেকেই পুদিনা চা পান করা শুরু করুন।
চিনি এড়িয়ে চলুন

চিনি শরীরে ইনসুলিনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে যা দেহে ফ্যাট হিসেবে জমা হয়। সুতরাং চিনি এড়িয়ে চলার চেষ্টা করবেন। চিনির পরিবর্তে খাবারে অন্য উপায়ে মিষ্টি খাবেন। যেমন মধু কিংবা ডায়েট চিনি। কিংবা সুগার ফ্রি খাবার খাবার চেষ্টা করুন।
একবারে বেশি খাবেন না

ভুঁড়ি হওয়ার জন্য যে কাজটি সবচাইতে বেশি দায়ী তা হল একবারে বেশি খাওয়া। একবারে বেশি খেলে খাবার হজম হতে বেশি দেরি হয় এবং এতে করে পেটে বেশি ফ্যাট জমা হয়। যার ফলশ্রুতিতে ভুঁড়ি হয়। চেষ্টা করুন খেতে বসলে অল্প খেতে। দিনে ৪/৫ বার খান কিন্তু অল্প পরিমাণে। এতে খাবার দ্রুত হজম হবে ও পেটে ফ্যাট জমবে না।

কিডনিতে পাথর হতে পারে যে কারো ....

পানি কম পান, লবণ বেশি খাওয়া, কিছু ওষুধের প্রভাব, গরম আবহাওয়া- এমন বহু কারণে কিডনিতে পাথর হতে পারে। পাথর কিডনি অকেজো পর্যন্ত করে দিতে পারে। অথচ একটু সতর্ক হলেই রেহাই পাওয়া সম্ভব।

কিডনি রক্ত পরিষ্কার করে এবং দূষিত পদার্থ প্রস্রাবের সঙ্গে শরীর থেকে বের করে দেয়। এ ছাড়া আরো কাজ আছে কিডনির। কিডনির ভেতরের অংশে বা বাইরের গাত্রে শক্ত পাথরজাতীয় পদার্থ তৈরি হলে তার নাম হয় কিডনির পাথর। পাথর হলেও রোগের উপসর্গ প্রকাশ পায় না অনেক ক্ষেত্রে। তাই বহু মানুষ কিডনিতে পাথর নিয়ে দিব্যি ঘুরে বেড়ায়। তবে অসুবিধা বোধ না করলেও কিন্তু চিকিৎসার প্রয়োজন আছে।

কেন পাথর হয়

বহু রাসায়নিক পদার্থ কিডনি হয়ে প্রস্রাবের মাধ্যমে বের হয়। প্রস্রাবে ক্যালসিয়াম, অক্সালেট, ইউরিক এসিড ইত্যাদি রাসায়নিক পদার্থের আধিক্য থাকলে কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়। এই পদার্থগুলো দীর্ঘ সময় জমা থাকলে ক্রিস্টাল আকারে শক্ত হয়ে যায়। পরবর্তী সময়ে আরো ক্রিস্টাল জমা হয়ে বড় আকার ধারণ করে। ছোট ক্রিস্টালগুলো অনেক সময় প্রস্রাবের মাধ্যমে বের হয়ে যায়, কিন্তু যেগুলো কিডনির অভ্যন্তরে থাকা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র নালিকার আকারের চেয়ে বড় হয়ে যায়, সেগুলো আর বের হতে পারে না। মূলত এগুলোই আরো বড় হয়ে কিডনির পাথর হয়।

সাধারণত পাথর কিডনির ভেতরেই তৈরি হয়। প্রস্রাব তৈরি হওয়ার পর কিছু সময় কিডনির ভেতরেই তা থাকে। এ সময় ক্রিস্টাল তৈরি হতে পারে। ছোট ক্রিস্টাল যখন আকারে বড় হয়, অনেক সময় তা কিডনির ভেতরে এক ধরনের স্ট্রেস বা চাপের সৃষ্টি করে। কখনো কখনো এসব পাথর কিডনি থেকে প্রস্রাব বের হওয়ার রাস্তা ব্লক বা বন্ধ করে দেয়। যখন এভাবে কিডনি থেকে প্রস্রাব বের হওয়ার রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়, তখন তীব্র ব্যথা হতে পারে। তবে ক্যালসিয়াম, অক্সালেট ইত্যাদি প্রস্রাবে থাকলেই যে সবার একই ধরনের পাথর হবে তা নয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, খাবারে উচ্চমাত্রার প্রোটিন, যেমন- মাছ, মাংস ইত্যাদি, নিম্নমাত্রার আঁশযুক্ত খাবার, শারীরিক পরিশ্রম কম করার কাজ বা মানসিকতা, পারিবারিক ইতিহাস, আন্ত্রিক কিছু অসুখ, কিছু ওষুধ সেবন, যেমন- অ্যাসপিরিন কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায়।

পাথর হলে কী হয়

কিডনির পাথর অনেক সময় প্রস্রাব নির্গমনে বাধা দেয়। যথাসময়ে এর যথাযথ চিকিৎসা না হলে প্রস্রাবে ইনফেকশন হতে পারে, কিডনির ইনফেকশন হতে পারে, কিডনি ফুলে যেতে পারে, এমনকি কিডনি পুরোপুরি অকেজো হয়ে যেতে পারে।


কার কী ধরনের পাথর হয়

কিডনিতে পাথর হতে পারে ক্যালসিয়াম যৌগের, স্ট্রুভাইট গোত্রের কিংবা ইউরিক এসিড গোত্রের। পাথরের ধরনের ওপর পরবর্তী সময়ে চিকিৎসা নির্ভর করে। যাদের উচ্চ রক্তচাপ বা কিডনির অন্যান্য অসুখ থাকে তাদের ক্যালসিয়াম যৌগের পাথর হয়, যাদের বারবার প্রস্রাবে ইনফেকশন হয় তাদের স্ট্রুভাইট গোত্রের এবং যাদের গাউট বা গিঁটে বাত, কেমোথেরাপির ইতিহাস থাকে তাদের ইউরিক এসিড গোত্রের পাথর হয়।

আবার পরিবেশগত কিছু কারণও এর সঙ্গে যুক্ত, যেমন- যারা গরম আবহাওয়ায় বসবাস করে তাদের কিডনিতে পাথর হওয়ার হার বেশি। এর কারণ পানিশূন্যতা। গরম আবহাওয়ায় শরীরে পানির ঘাটতি পড়ে সহজেই। এ কারণে রক্ত পরিশোধন করার পর প্রস্রাবের পরিমাণ কম থাকে। তাই এ প্রস্রাবে রাসায়নিক পদার্থ থাকে বেশি ঘন। এ কারণে সহজেই ক্রিস্টাল হয়ে পাথর তৈরি হতে পারে। যাদের একবার কিডনিতে পাথর হয়, তাদের বারবার তা হওয়ার ঝুঁকি থাকে। প্রথমবার পাথর সরিয়ে ফেলার পরবর্তী ১০ বছরের মধ্যে ৫০ শতাংশ রোগীর আবার তা হয়, আর প্রথম বছরেই আবার পাথর হতে পারে ১৫ শতাংশ রোগীর।

লক্ষণ

যদি কিডনিতে পাথর থাকে কিন্তু কোনো ইনফেকশন তৈরি না করে, তখন এক ধরনের লক্ষণ থাকে। আর যদি ইনফেকশন তৈরি হয়ে যায়, সে ক্ষেত্রে লক্ষণ থাকে একটু ভিন্ন ধরনের। ইনফেকশন না থাকলে সাধারণত-

* কোমরের পেছন ও পাশ থেকে তীক্ষ্ন ও তীব্র ব্যথা, যা ঢেউয়ের মতো করে শুরু হয়ে কুঁচকি পর্যন্ত ছড়িয়ে দেয়।

* ব্যথা বা অস্বস্তির কারণে আরাম করে চেয়ারে বসা যায় না। যেভাবেই বসা হোক না কেন, অস্বস্তি বোধ হয়।

* ব্যথার সঙ্গে বমি বমি ভাব ও বমি হতে পারে।
* প্রস্রাবের সঙ্গে রক্ত যেতে পারে।
* বারবার প্রস্রাব হয় বা বারবার বাথরুমে যেতে হয়।
* কখনো কখনো খুব অল্প ব্যথার অনুভূতি থাকে, যা রোগী বহু ক্ষেত্রে বুঝতেই পারে না।

তবে ইনফেকশন থাকলে-
* কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসতে পারে।
* প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া হতে পারে।
* প্রস্রাব করতে খুব ব্যথা অনুভূত হতে পারে।
* প্রস্রাব ঘোলা ও দুর্গন্ধযুক্ত হতে পারে।
* কোমরে তীব্র ব্যথা অনুভূত হতে পারে।

পরীক্ষা-নিরীক্ষা

কোনো লক্ষণ না থাকলেও সাধারণ রুটিন চেকআপেই কিডনির পাথর নির্ণয় করা যায়। পাথর নির্ণয়ের জন্য যে পরীক্ষাগুলো করা হয়, তার মধ্যে আছে অ্যাবডোমেনের প্লেন এক্স-রে, আলট্রাসনোগ্রাম, ইন্ট্রাভেনাস ইউরোগ্রাম বা আইভিইউ বা ইন্ট্রাভেনাস পায়েলোগ্রাম এবং সিটি স্ক্যান। এ ছাড়া রক্তের কিছু পরীক্ষা, প্রস্রাবের পরীক্ষাও করতে হয়।

কিডনির পাথরের চিকিৎসা কী

চিকিৎসা নির্ভর করে কী আকারের পাথর হয়েছে, কিডনির কোন অংশে হয়েছে তার ওপর। যদি কিডনির পাথর আকারে ৫ মিলিমিটার বা তার চেয়ে ছোট হয়, তাহলে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে তা প্রস্রাবের সঙ্গে বের হয়ে যায়। এ ধরনের পাথর ধরা পড়লে তাই ডাক্তাররা সাধারণত রোগীকে বেশি করে পানি পান করতে এবং প্রস্রাব আটকে না রাখতে বলেন। ব্যথার অনুভূতি থাকলে মৃদু মাত্রার ব্যথানাশক, যেমন- প্যারাসিটামল, আইবুপ্রফেন ইত্যাদি দিয়ে থাকেন।

কখনো কখনো এ ধরনের ছোট পাথর বের হওয়ার সুবিধার্থে ডাক্তাররা হালকা গরম পানিতে কোমর ডুবিয়ে কিছুক্ষণ বসে থেকে গোসল করার পরামর্শও দেন।

পাথর ৫ মিলিমিটারের বড় হলে তা সাধারণত আপনাআপনি বের হয়ে যায় না। এ ক্ষেত্রে চিকিৎসা নিতে হয়। এসব চিকিৎসার মধ্যে আছে-

ইএসডাব্লিউএল বা এক্সট্রাকরপোরাল শকওয়েভ লিথোট্রিপসি : এটি লিথোট্রিপসি নামেই বেশি পরিচিত। এটা এক ধরনের উচ্চশক্তিসম্পন্ন বৈদ্যুতিক তরঙ্গ। এই তরঙ্গের মাধ্যমে অপারেশন ছাড়াই কিডনির অভ্যন্তরের পাথর গুঁড়ো করা হয়। বড় আকারের পাথর অসংখ্য ক্ষুদ্রাকৃতির পাথরে রূপান্তরিত হয়, যা প্রস্রাবের মাধ্যমে শরীর থেকে বের হয়ে যায়। তবে কিডনিতে পাথর হলেই যে এ চিকিৎসা করা যায় তা নয়। পাথরের আকার, অবস্থান ইত্যাদির ওপর এর চিকিৎসা করা না করা নির্ভর করে। তাই এ ধরনের চিকিৎসায় পাথর আদৌ বের করা যাবে কি না, তা পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক নির্ধারণ করে থাকেন। পিসিএনএল বা পার কিউটেনিয়াস নেফ্রলিথটমি : এ পদ্ধতিতে কোমরের পেছন দিকে ত্বকে ছোট একটি ফুটো করা হয় এবং এই ফুটোর মধ্য দিয়ে এক ধরনের টেলিস্কোপিক যন্ত্র কিডনিতে প্রবেশ করিয়ে পাথর সরিয়ে আনা হয় বা পাথর গুঁড়ো করে দেওয়া হয় অথবা লেজার কিংবা শকওয়েভ থেরাপি সরাসরি প্রয়োগ করে পাথর বের করা হয়।

ইউটেরোস্কোপি : প্রস্রাবের রাস্তা দিয়ে একটি বিশেষ ধরনের টেলিস্কোপিক যন্ত্র প্রবেশ করিয়ে কিডনির পাথর বের করা হয়, কখনো কখনো লিথোট্রিপসি, লেজার ইত্যাদি থেরাপি প্রয়োগ করে পাথর গুঁড়ো করা হয়।

অস্ত্রোপচার : যখন কিডনির পাথর আকারে অনেক বড় হয় কিংবা পাথর এমনভাবে কিডনিতে থাকে যে তা গুঁড়ো করে বের করে আনা সম্ভব হয় না, যখন বারবার লিথোট্রিপসিসহ আরো চিকিৎসার মাধ্যমেও পাথর বের করা সম্ভব হয় না, তখন অস্ত্রোপচার করার প্রয়োজন হয়।

আবার ইউরিক এসিড যৌগের পাথর হলে অন্য চিকিৎসাও করা হয়। এ ক্ষেত্রে সাধারণত ডাক্তার এমন ওষুপধের পরামর্শ দেন, যা সেবন করলে প্রস্রাব আরো ক্ষারীয় হয় এবং ধীরে ধীরে পাথর দ্রবীভূত হয়ে প্রস্রাবের সঙ্গে বের হয়ে যেতে পারে।

কিডনির পাথর প্রতিরোধের উপায়

* পর্যাপ্ত পানি খেতে হবে- দিনে ৮ থেকে ১০ গ্লাস। গরম আবহাওয়ায় পানি পানের পরিমাণ বাড়াতে হবে। যারা শারীরিক পরিশ্রমের কাজ করে এবং কাজের সময় প্রচুর ঘাম নির্গত হয়, তাদের বেশি করে পানি ও পানিজাতীয় তরল পান করতে হবে।

* যাদের কিডনিতে পাথর হওয়ার ইতিহাস আছে, তাদের পানি পানের পরিমাণ দ্বিগুণ করতে হবে। তবে এ ক্ষেত্রে আগে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নিন।
* অক্সালেটসমৃদ্ধ খাবার কম খাওয়া ভালো। এ ধরনের খাবারের মধ্যে আছে চকোলেট, আঙুর, শিম, স্ট্রবেরি, পালংশাক, অ্যাসপারাগাস, দুধ ছাড়া চা, ভিটামিন সি ট্যাবলেট ইত্যাদি।
* ইউরিক এসিড আছে এমন খাবারও কম খাওয়া ভালো, যেমন- কলিজা, কিডনি, মুরগির চামড়া, সার্ডিন মাছ ইত্যাদি।
* তরকারি বা পাতে লবণ খাওয়ার পরিমাণ কমিয়ে দিন। লবণ যত বেশি খাবেন, তত বেশি পাথর হওয়ার ঝুঁকি থাকবে।
* চিনি বেশি খেলে কিডনির পাথরের ঝুঁকি বাড়ে; বিশেষ করে রিফাইন্ড চিনি, যা সাদা চিনি হিসেবে বাজারে পাওয়া যায়। বিকল্প হিসেবে দেশি লাল চিনি অনেক ভালো।

পরামর্শ দিয়েছেন ডা. জামানুল ইসলাম ভূইয়া, অধ্যাপক, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কিডনি ডিজিজ অ্যান্ড ইউরোলজি (নিকডু), ঢাকা।

No comments:

Post a Comment