Saturday, January 11, 2014

জিরো ফিগার

বর্তমান সময়ে জিরো ফিগার কথাটার সাথে আমরা সুপরিচিত। হলিউড কিংবা বলিউডের নায়িকা এবং মডেলরা এই কাংখিত লক্ষ্যে পৌছানোর জন্য কত কসরতই না করছেন।

জিরো ফিগার বা যাই হোক স্বাস্থ্যকর একটি স্লিম শরীরই আমাদের কাম্য হওয়া উচিত, তা না হলে অসুস্থ্ শরীর নিয়ে ভুগতে হতে পারে। আমাদের লাইফস্টাইল এবং খাবারের ধরণ পরিবর্তন করলে কাংখিত স্লিম ফিগার অবশ্যই অর্জন করা সম্ভব।

নিচের টিপসগুলো থেকে সাহায্য নিতে পারেনঃ
# প্রথমেই আপনার মনকে শক্ত করতে হবে।
# ভাজাপোড়া, মিষ্টি ও কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার প্রায় বন্ধ করে দিতে হবে।
# প্রতিদিন ভোরে ঘুম থেকে ওঠার চেষ্টা করুন।
# ঘুম থেকে উঠে এক গ্লাস পানি পান করুন।
# ১৫ মিনিট পর এক কাপ চিনি ছাড়া চা পান করুন। সাথে এক-দুটি টোস্ট বা বিস্কুট খেতে পারেন।
# চা পানের এক ঘন্টা পর সকালের নাশতা করুন। সকালের নাশতায় দু-তিনটি রুটি, একটি ডিম, সবজি ও সালাদ রাখুন।
# দুপুরের ও সকালের খাবারের মাঝে ফল যেমন¬ আপেল, পেয়ারা, কমলা ইত্যাদি খেতে পারেন।
# শুধু দুপুরে একটু ভাত খাবেন। মধ্যাহ্নভোজে এক থেকে দেড় কাপ ভাত, এক কাপ ডাল, সবজি, এক টুকরো মাছ বা গোশতসহ ঝোল তরকারি ও সালাদ রাখুন।
# রাতে আবার দু-তিনটি রুটি, সবজি, এক কাপ ডাল ও এক টুকরো মাছ বা গোশত খাবেন। সাথে এক কাপ দুধ রাখতে পারেন।
# ওপরের খাদ্যাভ্যাসগুলো ছাড়া প্রতিদিন অবশ্যই আধঘন্টা থেকে এক ঘন্টা হাঁটার অভ্যাস গড়ে তুলুন। এভাবে যদি প্রতিদিন ওপরের অভ্যাসগুলো মেনে চলতে পারেন তবে স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে আপনি স্লিম হতে পারবেন।




কোমরের শক্তি বাড়াতে ব্যায়াম


বাত মানেই হাঁটু আর কোমরে ব্যাপক সমস্যা। কিছু সময় এক জায়গায় বসার পর উঠতে যে কত সমস্যা, তা ভুক্তভোগীই ভালো জানেন। বাত থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য ওয়ার্কআউট ও স্ট্রেচিংগুলো আমরা আগেই জেনেছি। হাঁটুর শক্তি বাড়ানোর ব্যায়াম বিষয়েও জেনেছি। আজ জানব কোমরের ব্যায়াম নিয়ে।

অলটারনেটিং সুপারম্যান : কোমরের বাতে দুটি কশেরুকার মধ্যে দূরত্ব কমে যায়, লিগামেন্ট আক্রান্ত হয়। এ ক্ষেত্রে প্রথম কাজ হলো পেট আর কোমরের গভীরের মাংসপেশির 'সুইচ অন' করা। এ জন্য প্রথমে উপুড় হয়ে শুতে হবে। এবার বাঁ হাতটিকে মাটি থেকে ওপরে তুলুন, একই সঙ্গে ডান পাও। মাথাও থাকবে মাটির ওপরে। কোনো রকম ঝাঁকাঝাঁকি না করে সামর্থ্য অনুযায়ী ওপরে তুলতে হবে। এভাবে ২০ থেকে ৩০ সেকেন্ড ধরে রাখতে হবে। এবার হাত ও পা বদল করে একইভাবে অনুশীলন করতে হবে। একটু বিশ্রাম নিয়ে আবার করুন। প্রথম প্রথম ব্যায়ামটি করতে কেউ কেউ সমস্যা বোধ করতে পারেন। তবে কয়েকবার অনুশীলনে ধীরে ধীরে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করবেন। নিঃশ্বাস-প্রশ্বাস যেন স্বাভাবিক থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

ডেড বাগ : চিত হয়ে শুতে হবে। শুরুতেই দুই হাঁটু ৯০ ডিগ্রি ভাঁজ অবস্থায় শূন্যে রাখতে হবে। একটি হাত মাথার পেছনে মাটিতে রাখতে হবে। অন্য হাত থাকবে হাঁটুর কাছে। এবার একটি হাঁটু সোজা মাটির দিকে সোজা করতে হবে। এরপর পর্যায়ক্রমে একেকটি হাঁটু ভাঁজ আর সোজা করুন। ঠিক একইভাবে পর্যায়ক্রমে একেকটি হাত মাথা থেকে হাঁটুর কাছে আনুন। এ ব্যায়াম পেলভিক ফ্লোর, লাম্বার মাল্টিফিডাস, ট্রান্সভার্সাস অ্যাবডমিনিস ইত্যাদি মাংসপেশিকে কার্যক্ষম করে। এ ব্যায়ামে কোমরের বাত থেকে অনেকটা ভালো থাকা যায়। প্রতি হাঁটু ১০ বার পর্যায়ক্রমে ভাঁজ আর সোজা করুন। একটু বিশ্রামের পর তিনবার রিপিট করলে ভালো ফল পাওয়া যাবে।

No comments:

Post a Comment