Wednesday, January 22, 2014

রাতের বেলার ৩টি কার্যকর ডায়েট প্ল্যানে দ্রুত ওজন কমান


মেদ ভুঁড়ি কিংবা একটু বাড়তি ওজন কমানোর জন্য বেশিরভাগ মানুষ সবসময়ই অনেক চিন্তিত থাকেন। কী করলে ওজন কমবে, কী কী না খেলে ওজন কমবে, কোন কোন খাবার ওজন কমায়, ডায়েট করতে চাইলে কীভাবে করতে হবে এই সব ভেবে ভেবে ঘন্টার পর ঘণ্টা পার হয়ে যায়। অনেকেই আছেন যারা ওজন কমাবার জন্য রাতের খাবার খান না। কিন্তু আপনি জানেন কি? ওজন কমানোর জন্য রাতের বেলার খাবারের গুরুত্ব কতটা? দীর্ঘ ৮-১০ ঘণ্টা না খেয়ে থাকতে হবে, তাই রাতের বেলা খাওয়া বাদ দিয়ে ডায়েট করে মোটেও ভালো কোনো বুদ্ধি নয়।

রাতের বেলা খাবার না খেয়ে থাকলে লাভের থেকে ক্ষতির পরিমাণই বেশী। ওজন তো কমবেই না বরং স্বাস্থ্যহানি ঘটবে। তাই আজকে আপনাদের জন্য রইল চটজলদি ওজন কমাতে সহায়ক রাতের বেলার ৩ টি ডায়েট প্ল্যান। রাতে বেলা না খেয়ে থাকার চেয়ে একটি ডায়েট চার্ট অনুসরণ করুন। দ্রুত ওজন কমাতে পারবেন।

ডায়েট প্ল্যান-১: যারা ভাত জাতীয় খাবার পছন্দ করেন

অনেকেই আছেন যারা ভাবেন ভাত খেয়ে ওজন কমানো যায় না। কথাটি সম্পূর্ণ ভুল। পরিমিত পরিমাণ ভাত ওজন কমাতে বেশ সহায়ক। নিয়ম করে রাতের বেলা এই চার্টটি অনুসরণ করেই দেখুন ওজন কমে কিনা!

•১ কাপ ভাতঃ ভাতের পরিমাণ ১ কাপই হতে হবে। কোনো ভাবেই এর চাইতে বেশী নয়।
•১ টুকরো মাছ/ মাংসঃ মাঝারি আকৃতির এক টুকরো মাছ/ মাংস শরীরের আমিষের চাহিদা পূরণ করবে।
•১ কাপ সবজিঃ কম তেলে বা তেল বিহীন সবজিভাজি ফ্যাট অনেকাংশে কমায়। ১ কাপ পরিমাণ সবজি অবশ্যই ডায়েট চার্টে রাখবেন। সব চাইতে ভালো হয় কাঁচা সবজির সালাদ রাখলে।
•১ কাপ ডালঃ ডাল ফ্যাট কাটতে সহায়তা করে। পাশাপাশি পুষ্টি যোগায় শরীরে।
•১ টি ফল ও দইঃ খাবার শেষে ১ টি কলা বা ১ টি আপেল কিংবা ১ টি কমলা খাবেন। এই ফলগুলো ফ্যাট কমাতে সাহায্য করে। আর ১/৪ কাপ টক দই। এটা খাবার হজমে সাহায্য করবে।

ডায়েট প্ল্যান-২: যারা রুটি জাতীয় খাবার পছন্দ করেন

অনেকে রাতে ভাত খেতে পারেন না বা খেতে চান না। তাদের জন্য এই ডায়েট চার্ট। অনুসরন করে দেখুন, ওজন কমবে দ্রুত।

•২/৩ টি পাতলা আটার রুটিঃ রুটিটি অবশ্যই আটার হতে হবে। লাল আটা হলে ভালো হয়। ময়দা ও পাউরুটি হলে চলবে না। কারন ময়দার রুটি ও পাউরুটি খেলে ওজন বাড়ে
•১/২ কাপ সবজিঃ কম তেলে বা তেল বিহীন সবজিভাজি আটার রুটির সাথে খেতে পারেন।
•১/২ টি ডিমের সাদা অংশঃ ডিম প্রোটিনের খুব ভালো একটি উৎস। ডিমের সাদা অংশে ক্যালোরি অনেক কম থাকে। তাই ১/২ টি ডিমের সাদা অংশ খেতে পারেন। কিংবা এক টুকরো মাছ বা মাংস যা আপনার পছন্দ।
•১/২ টি ফলঃ কলা, আপেল কিংবা কমলা এই তিনটি ফলের যে কোন ১ টি খাবেন। দই খেতে চাইলে ২/৩ টেবিল চামচ খেতে পারেন।

ডায়েট প্ল্যান-৩: সবচাইতে দ্রুত ওজন কমানোর জন্য

এই ডায়েট প্ল্যানটি যে কেউ অনুসরণ করতে পারেন খুব দ্রুত ওজন কমাতে চাইলে। দ্রুত ওজন কমাতে খুবই কার্যকরী একটি চার্ট।

•আধা কাপ হাই ফাইবার কর্ণফ্লেক্সঃ হাই ফাইবার কর্ণফ্লেক্স ওজন কমাতে সাহায্য করে। তবে কর্ণফ্লেক্স অবশ্যই চিনি ছাড়া হতে হবে। যদি চিনি ছাড়া খেতে না পারেন তবে মধু ব্যবহার করতে পারেন।
•১ কাপ মাখন ছাড়া দুধঃ মাখন ছাড়া দুধে ক্যালোরির পরিমাণ অনেক কম থাকে। তাই ডায়েট চার্টে ১ কাপ মাখন ছাড়া দুধ অবশ্যই রাখবেন।
•ফলঃ এই ডায়েট চার্টে ফলের গুরুত্ব অনেক বেশী। বেশী করে ফল খাবেন রাতে। বিশেষ করে কলা ও সবুজ আপেল। এরা ফ্যাট কমাতে অনেক সহায়তা করে।

কর্ণফ্লেক্স,দুধ ও ফল এক সাথে মিশিয়ে খেয়ে নিন। দুধটা ঠাণ্ডা না খেয়ে গরম খাবেন। সাথে খেতে পারেন এক মুঠো কাঠ বাদাম।

পুরুষদের ভুড়িঁ কমানোর ৩০ টি উপায়


ভুড়িঁটাকে কিছুতেই নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। ভুঁড়ি নিয়ে অনেক পুরুষই আজকাল বিড়ম্বনায় পড়েন। ভুড়িকে নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য আসুন জেনে নেই ৩০টি উপায়।



১. সপ্তাহের প্রতিদিন আধা ঘন্টা করে সাঁতার কাটা এবং দুই মাস চালু রাখা।

২. সপ্তাহে ছয়দিনে প্রতিদিন তিরিশ মিনিট করে ক্রোলিং করা। তিন সপ্তাহ বিরতিহীন ভাবে চালু রাখা।

৩. নব্বই মিনিট ফুটবল খেললে ১৫০০ ক্যালরি শক্তি ক্ষয় হবে। এভাবে ছয় সপ্তাহ খেলা করা।

৪. স্টোমাকের উপর প্রতিদিন তিরিশ সেকেন্ড করে চেপে ধরা। এভাবে একমাস অনুশীলন করা।

৫. দিন রাতের যে কোনো একবার খাবারের পরিবর্তে ব্রেকফাস্ট করা। এবং এ পদ্ধতি দুই মাস ধরে করা।

৬. দিনে তিরিশ মিনিট করে দুই বার সহবাস করা এবং এভাবে তিন মাস চালু রাখা।

৭. বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে প্রতিদিন ষাট সেকেন্ড করে হরমোন গ্রোথ রোধ করা। এটি একমাস চালু রাখা।

৮. প্রত্যেকদিন ৫০০ ক্যালরি করে খাবার পরিহার করা। অবশ্য শতকরা ৫০ ভাগ সফলতা দেখা যাবে।

৯. প্রতিদিন তিরিশ মিনিট করে ক্রান্সিং করা। এবং এটি মাস ব্যাপী ধরে প্রাকটিস করা।

১০. আড়াই কেজি মাসল বাড়াতে যে পরিমাণ ক্যালরি খরচ হবে সেই পরিমাণ ক্যালরি খরচ করা।

১১. খাবারের পূর্বে হাফ লিটার এইচ-২০ খাওয়া ক্যালরি কমাবে। দুই মাস ধরে এটা চালাতে হবে।

১২. ফল এবং বাদাম জাতীয় খাবার ক্যালরি কমায়। একমাস খাওয়া এক ইঞ্চি পরিমান কমাবে।

১৩. প্রত্যেকদিন চারবার হালকা অনুশীলন করা। এবং একমাস চালু রাখা।

১৪. ডিনারের পর ঘুমানো প্রতিমাসে এক কেজি স্বাস্থ্য কমায়। সুতরাং দুই মাস হালকাভাবে ঘুমানো।

১৫. কমলার জুসের চেয়ে সরাসরি কমলা খাওয়া। ছয় সপ্তাহ এভাবে চালু রাখা।

১৬. প্রত্যেক দিন তিরিশ মিনিট করে বাইসাইকেল চালালে ৩০০০ ক্যালরি ক্ষয় হয়। এভাবে পাঁচ সপ্তাহ চালানো।

১৭. উচ্চ ফ্যাট বিশিষ্ট খাবার একমাস ত্যাগ করা।

১৮. প্রতিদিন বিশ মিনিট করে হাঁটা। এবং ছয় সপ্তাহ চালু রাখা।

১৯. প্রতিদিন দুই থেকে তিন ঘন্টা করে ছেলেদের সাধারণ নৃত্য করা। এব তা পাঁচ সপ্তাহ ধরে চালু রাখা।

২০. হাফ লিটার স্কিমড মিল্ক পান করা। ছয় সপ্তাহ ধরে গল্ফ মাঠে সুইংগিং করা। এবং ৩৫ দিন চালু রাখা।

২১. নিম্ম ফ্যাট বিশিষ্ট খাবার খাওয়া।

২২. ৪০% প্রোটিন প্যাকড ফুড খাবার খাওয়া।

২৩. তীব্র ক্ষুধার পর তিরিশ প্রয়োজনের তুলনায় ১০% কম খাওয়া। এবং নয় সপ্তাহ ছালু রাখা।

২৪. আশযুক্ত খাবারের পরিমাণ বাড়িয়ে দেওয়া। সাড়ে তিন সপ্তাহ ধরে প্রতিধিন আশযুক্ত খাবার খাওয়া।

২৫. তিন তলা বিশিষ্ট বিল্ডিং-এ প্রতিদিন পাঁচ বার করে উঠা এবং নামা। তিন মাস এভাবে চালু রাখা।

২৬. সারাদিন চিনিমুক্ত গাম চিবানো। এবং একমাস ধরে চালু রাখা।

২৭. প্রতিদিন একঘন্টা করে টেনিস খেলা। এতে ৪৭০ ক্যলরি শক্তি ক্ষয় হয়।

২৮. শরীরের বিভন্ন অংশ প্রতিদিন দুই ঘন্টা করে নাড়াচাড়া করা। এতে ৭০০ ক্যালরি ক্ষয় হয়।

২৯. সাধারণ মাত্রার এক বোতল বিয়ারের অর্ধেক অংশ পান করা। এবং আড়াই মাস চালু রাখা।

৩০. প্রত্যেক দিন ট্রাউজার পরে ২০ মিনিট ধরে রোপ স্কিপিং করা। একমাস ধরে প্রতিদিন করা।

২ মিনিটে দাঁত সাদা করবে কলার খোসা


আচ্ছা, অতীত কালে তো ডাক্তার ছিল না। আর ছিল না নামকরা ব্রান্ডের পেস্ট ব্রাশ দাঁত মাজার জন্য। তাহলে কি তখন মানুষের দাঁত থাকতো হলদেটে আর দাগে ভরা? মোটেই না। মানুষের কাছে তখন ছিল হরেক রকম ঘরোয়া টিপস। আর তেমনই একটা হচ্ছে কলার খোসা দিয়ে দাঁত সাদা করা।

ভাবছেন এও কি সম্ভব? কিংবা ভাবছেন - "যাহ, সব ভুয়া"... তাই না? কিন্তু অসম্ভব নয়, আর মিথ্যাও নয়। কলার খোসা সত্যিকার অর্থেই বিজ্ঞান সম্মতভাবে আপনার দাঁত সাদা করতে সক্ষম। সুতরাং ভুলে যান দাঁতের ডাক্তারের কাছে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা খরচ করার ভাবনা, আর ঘরে বসেই নিজের দাঁত গুলোকে রাখুন ঝকঝকে। তবে হ্যাঁ, কাজটা করতে হবে সঠিক পদ্ধতিতে। আর আজ জানানো হচ্ছে সেটাই।

কলার খোসায় আছে প্রচুর পরিমাণে খনিজ উপাদান। বিশেষ করে পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম আর ম্যাঙ্গানিজ। আর এরাই হচ্ছে দাঁতকে সাদা করে তুলবার প্রধান হাতিয়ার। এছাড়াও কলার খোসায় আছে প্রচুর ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি, যারা কিনা দাঁতকে মজবুত করে তোলার পাশাপাশি খনিজ উপাদান গুলো শোষণ করতেও সহায়তা করে। কলার খোসা নিঃসন্দেহে সাদা করে তুলবে আপনার দাঁত, তবে ব্যবহার করতে হবে সঠিক পদ্ধতিতে। এবং অবশ্যই নিয়ম মেনে। জেনে নিন বিস্তারিত পদ্ধতি।

প্রথমেই বেছে নিন সঠিক কলা। দাঁত সাদা করার জন্য ঠিক ভাবে পাকা কলা হওয়া জরুরী। খুব বেশি পাকাও নয়, খুব বেশি কাঁচাও নয়। এমন কলা বেছে নিন যারা কিনা এখন নিচের দিকে একটু একটু সবুজ। কেননা এই ধরনের কলায় পটাশিয়াম থাকে উচ্চ মাত্রায়। আর এই পটাশিয়ামই দাঁত সাদা করার দায়িত্ব নেবে।
কলা উলটো করে ছিলে নিন। হ্যাঁ, যেভাবে আপনি ছিলে থাকেন কলা ঠিক তার উলটো দিক থেকে ছিলে নিন। দেখবেন যে কলার গায়ে লম্বা লম্বা সুতার মতন আঁশ থাকে। উলটো করে ছিলে নিয়ে এই আঁশ গুলো থাকবে খোসার সাথেই।
খোসা থেকে চারকোনা করে দুটি টুকরো কেটে নিন। আপনার সুবিধা মতন আকারেই কেটে নিন। চাইলে এই কাটা খোসা ফ্রিজেও সংরক্ষণ করতে পারেন।
এবার সকালে দাঁত ব্রাশ করবার পূর্বে এই কলার খোসার ভেতরের অংশটি দিয়ে আপনার দাঁত খুব ভাল করে ঘষুন। প্রথম টুকরোটি দিয়ে পুরো এক মিনিট ঘষুন। তারপর সেটা বদলে দ্বিতীয় টুকরোটি দিয়ে আরও এক মিনিট। অর্থাৎ পুরো দুই মিনিট দাঁতকে ঘষুন। দাঁতের প্রত্যেকটি অংশে যেন পৌছায় এমন ভাবে ঘষতে হবে।
দাঁত ঘষা হলে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন। ১৫ থেকে ২০ মিনিট করতে পারলে ভালো। এই সময়ে পানি বা অন্য কিছু খাবেন না, কিংবা কুলি করবেন না। সময়টা পেরিয়ে গেলে আপনার নিয়মিত ব্যবহারের টুথ পেস্ট দিয়ে দাঁত মেজে নিন।

এবার আয়নায় তাকিয়ে দেখুন তো, লাগছে না দাঁত একটু বেশি পরিষ্কার? ৪/৫ দিন এমন করার পরেই দেখবেন আগের চাইতে অনেক বেশি উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে আপনার দাঁত। হলদে ভাব যেমন কমে গেছে, তেমনি কালো ছোপটাও অনেকটাই সরে গেছে। যারা ধূমপান বা মদ্যপান করেন, তাদের ক্ষেত্রেও কাজ করবে এই পদ্ধতি। তবে ব্যবহার করতে হবে বেশ দীর্ঘদিন। এবং সঠিক নিয়েম মেনে।

অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে-

এটা কোনও ম্যাজিক নয়। তাই ভালো ফল পেতে নিয়ম মেনে ব্যবহার করতে হবে।
অবশ্যই কমপক্ষে ২ মিনিট ঘষতে হবে। এই সময়টা জরুরি। বেশি ঘষলে আরও ভালো।
ঘষার পর অবশ্যই সময় দিতে হবে খনিজ গুলো দাঁতে শোষিত হবার।
যাদের দাঁত মদ্যপান, ধূমপান বা অসুস্থতার কারণে হলুদ তাদের ক্ষেত্রে একটু সময় লাগবে।
কলার খোসায় প্রচুর পরিমাণে চিনি থাকে। তাই অবশ্যই দাঁত খুব ভালভাবে মেজে নিতে হবে। এবং এই কারণেই দিনে ১ বারের বেশি ব্যবহার করা যাবে না।
যাদের দাঁত খুব একটা বেশি হলুদ নয়, তারা সপ্তাহে একবার ব্যবহার করুন।

অনেকেই বলবেন যে কাজ হয় না, ভুয়া ইত্যাদি। কিন্তু মোদ্দা কথাটা হলো হয় তারা চেষ্টা না করেই বলেছেন, কিংবা চেষ্টা করলেও সঠিক ভাবে করেননি। ফল পাবার জন্য অবশ্যই নিয়ম মেনে প্রয়োগ করতে হবে। আর তাই অন্য লোকের কথা শোনা বাদ দিয়ে নিজেই চেষ্টা করে দেখুন না!

চেষ্টা করতে তো কেবল একটা কলাই লাগছে, তাই না?
 






কোমরের শক্তি বাড়াতে ব্যায়াম 


বাত মানেই হাঁটু আর কোমরে ব্যাপক সমস্যা। কিছু সময় এক জায়গায় বসার পর উঠতে যে কত সমস্যা, তা ভুক্তভোগীই ভালো জানেন। বাত থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য ওয়ার্কআউট ও স্ট্রেচিংগুলো আমরা আগেই জেনেছি। হাঁটুর শক্তি বাড়ানোর ব্যায়াম বিষয়েও জেনেছি। আজ জানব কোমরের ব্যায়াম নিয়ে।

অলটারনেটিং সুপারম্যান : কোমরের বাতে দুটি কশেরুকার মধ্যে দূরত্ব কমে যায়, লিগামেন্ট আক্রান্ত হয়। এ ক্ষেত্রে প্রথম কাজ হলো পেট আর কোমরের গভীরের মাংসপেশির 'সুইচ অন' করা। এ জন্য প্রথমে উপুড় হয়ে শুতে হবে। এবার বাঁ হাতটিকে মাটি থেকে ওপরে তুলুন, একই সঙ্গে ডান পাও। মাথাও থাকবে মাটির ওপরে। কোনো রকম ঝাঁকাঝাঁকি না করে সামর্থ্য অনুযায়ী ওপরে তুলতে হবে। এভাবে ২০ থেকে ৩০ সেকেন্ড ধরে রাখতে হবে। এবার হাত ও পা বদল করে একইভাবে অনুশীলন করতে হবে। একটু বিশ্রাম নিয়ে আবার করুন। প্রথম প্রথম ব্যায়ামটি করতে কেউ কেউ সমস্যা বোধ করতে পারেন। তবে কয়েকবার অনুশীলনে ধীরে ধীরে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করবেন। নিঃশ্বাস-প্রশ্বাস যেন স্বাভাবিক থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

ডেড বাগ : চিত হয়ে শুতে হবে। শুরুতেই দুই হাঁটু ৯০ ডিগ্রি ভাঁজ অবস্থায় শূন্যে রাখতে হবে। একটি হাত মাথার পেছনে মাটিতে রাখতে হবে। অন্য হাত থাকবে হাঁটুর কাছে। এবার একটি হাঁটু সোজা মাটির দিকে সোজা করতে হবে। এরপর পর্যায়ক্রমে একেকটি হাঁটু ভাঁজ আর সোজা করুন। ঠিক একইভাবে পর্যায়ক্রমে একেকটি হাত মাথা থেকে হাঁটুর কাছে আনুন। এ ব্যায়াম পেলভিক ফ্লোর, লাম্বার মাল্টিফিডাস, ট্রান্সভার্সাস অ্যাবডমিনিস ইত্যাদি মাংসপেশিকে কার্যক্ষম করে। এ ব্যায়ামে কোমরের বাত থেকে অনেকটা ভালো থাকা যায়। প্রতি হাঁটু ১০ বার পর্যায়ক্রমে ভাঁজ আর সোজা করুন। একটু বিশ্রামের পর তিনবার রিপিট করলে ভালো ফল পাওয়া যাবে।
 

No comments:

Post a Comment