Monday, January 20, 2014

চা পানের অপকারিতা

আমরা সাধারণত সকালের নাস্তা বা দুপুরের খাবারের পর পরই চা বা কফি পান করি। অনেকেরই এটা প্রতিদিনের অভ্যাস। কেননা চা, কফি পান করার অনেক উপকারিতা রয়েছে। তবে এই অভ্যাস স্বাস্থ্যসম্মত নয়।

সঠিক সময়ে বা উপায়ে চা না পান করলে তা শরীরে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ঘটায়। লাল চা বা সবুজ চা যে ধরণেরই চা হোক না কেন, তা উপকারিতার পাশাপাশি শরীরে অন্য খাবার গুলো থেকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি পাওয়া থেকে বঞ্চিত করে এবং হজমে বাঁধা সৃষ্টি করে। খাবার খাওয়ার আগে চা পান করলেও হজমে বাঁধাগ্রস্থ হয় এবং খাবার থেকে প্রয়াজনীয় পুষ্টি পাওয়া যায় না।

কেন খাবার খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চা পান করবেন না?

১. চা খাবার থেকে আয়রন শোষণ করে। কারণ চা বা কফিতে রয়েছে পলিফেনন জেস্টানিন নামক উপাদান যা আয়রন শোষণ করে বা জেস্টানিনরে সঙ্গে আয়রন মিশে শরীর থেকে বের হয়ে যায়।
২. চা শরীরে থায়ামিন বা ভিটামিন বি শোষণ রোধ করে যা বেরিবেরি রোগের অন্যতম কারণ।
৩. চা খাবার থেকে আমিষ ও ভিটামিন শোষণ করে এবং শরীর এই খাবারগুলোকে হজম করতে পারে না
৪.চা এর মধ্যে অ্যাসিডাম টেনিকামস ও জেসথিয়োফিলিনস নামক উপাদান রয়েছে যা পাকস্থলীর হজম প্রক্রিয়া ব্যাহত করে

কখন চা বা কফি পান করবেন?
এসব সমস্যার কারণে কি চা পান করা বাদ দিবেন? অবশ্যই না কেননা চা ও কফি পান করার অনেক উপকারীতা আছে। তাই কিছু নিয়ম মেনে চললে এসব পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
১. খাবার খাওয়ার অন্তত: আধা ঘণ্টা আগে অথবা খাবার খাওয়ার এক ঘণ্টা পরে চা পান করা।
২. সকাল, দুপুর এবং রাতের খাবারের ১ থেকে ২ ঘণ্টা পরে চা বা কফি পান করা।
৩. যাদের রক্তশূন্যতা আছে, কম বয়স্ক মেয়েরা বা যেসব নারীরা বৃদ্ধ নয় তাদের এই সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।
৪. যাদের হজমে ও অম্লত্বর সমস্যা রয়েছে তাদেরও এই সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।



এলাভেরার টনিক


এলাভেরার টনিক বানাতে হলে আপনাকে এলোভেরার কচিপাতা যোগার করতে হবে। এজন্য আপনি স্থানীয় বাজার থেকে সংগ্রহ করতে পারেন, অথবা বাড়িতেই টবে লাগাতে পারেন এলোভেরার চারা। শুষ্ক অঞ্চলের গাছ হওয়ায় এলোভেরার তেমন যত্ন করার প্রয়োজন নেই।

যাই হোক একটি সতেজ পাতা কেটে নিয়ে পরিস্কার করে দুইভাগ করুন। এরপর ভেতরের জেলির মতো শাসগুলো চামচ দিয়ে গ্লাসে ঢেলে নিন। এবার পানি ও চিনি মিশিয়ে তৈরী করুন এলোভেরার টনিক। এর ঝাঁঝালো গন্ধ দূর করতে এর সাথে একটু ট্যাং মেশাতে পারেন। এই টনিক প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে পান করলে, প্রাকৃতিক ভাবেই পেতে পারেন দাগহীন ত্বক। ব্রণ এবং সানবার্ণ থেকেও এটি আপনাকে মুক্তি দেবে। 



ত্বক ফর্সা করতে কয়েকটি টিপস্‌


ত্বক ফর্সা বা কালো হওয়ার বিষয়টি নির্ভর করে মেলানিনের উপর। এর অধীক বেশি হলে গায়ের রং কালো আর কম হলে ফর্সা হয়ে থাকে। আজ প্রাকৃতিক উপায়ে ত্বক ফর্সা করার কয়েকটি টিপস্‌ দেওয়া হলো।


তবে প্রাকৃতিক কিছু উপাদানে রয়েছে এনজাইম ও হরমোন যা ত্বকের কোষ সুস্থ্য করে ত্বককে করে তোলে উজ্জ্বল। ত্বকের রং ফর্সা করতে মুখে দই লাগাতে পারেন। ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে অন্তত ৩ দিন এরকম লাগাতে হবে।

# নিয়মিত দুধ দিয়ে মুখ মুছলেও ত্বক ফর্সা হয়।

# অয়েলি স্ক্রিনের জন্য লেবুর রস ও ডিমের সাদা অংশ সমপরিমাণে মিশিয়ে মুখে ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। ত্বক উজ্জ্বল না হয়ে পারেই না।

# সারা গায়ের রং উজ্জ্বল করতে ব্যাসন। দই আর সামান্য হলুদ মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন। গোসলের সময় সাবানের পরিবর্তে এটি নিয়মিত ব্যবহার করুন।

# অনেক সময় হাত-পা-হাঁটু ও কণুইয়ে কালো ছপ পড়ে। এক্ষেত্রে আধা কাপ পেঁপের সাস এক চা চামচ তরমুজের রস, এক চা চামচ লেবুর রস ডিমের সাদা অংশ, এক চা চামচ মধু একসঙ্গে মিশিয়ে ওইস্থানে লাগান। শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত রাখুন। এরপর ধুয়ে ফেলুন।

# সুষ্ক ত্বকের জন্য। দুই চা চামচ কাঁচা দুধ, আলুর রস ঠাণ্ডা করে ব্যবহার করুন ক্লিঞ্জার হিসেবে। যাদের ত্বক তৈলাক্ত তারা মুগের ডাল গুড়ো সামান্য পানিতে মিশিয়ে প্রত্যেক সপ্তাহে একদিন করে মুখ স্ক্রাব করুন। এটি ত্বকের উপরের মরা কোষের পরত (আবরণ) দূর করবে।

# আধা টুকরা পাকা কলা নিন। ভালোভাবে চটকে নিয়ে এতে কয়েক ফোটা শষার রস মেশান। মুখে-গলায় লাগিয়ে রাখুন আধা ঘণ্টা। তারপর ধুয়ে ফেলুন।

# মধু ও কয়েক ফোটা লেবুর রস মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে রাখুন ১৫ মিনিট। মধু যখন আপনার ত্বক উজ্জ্বল করবে- লেবুর প্রাকৃতিক ব্লিচিং গুণ তখন ত্বককে করবে আরও ফর্সা।
 




তেঁতুলের নাম শুনলেই জিভে জল আসে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না। টক তেঁতুল মুখে দিলে আমাদের যে ভিন্ন এক অনুভূতি হয় তা নিশ্চয়ই বলতে হবে না। আমাদের অনেকেরই ধারণা তেঁতুল খেলে রক্ত পানি হয়ে যায়। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে তেঁতুল কোনোভাবেই আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকর নয়। বরং হৃদরোগসহ বিভিন্ন রোগে খুব উপকারী। তেঁতুল বসন্ত-কালের ফল হলেও বছরের সব সময়ই পাওয়া যায়।
তেঁতুলে রয়েছে প্রচুর ভেষজ ও পুষ্টিগুণ:

• তেঁতুল দেহে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে এবং হৃদরোগীদের জন্য খুব উপকারী
• রক্তের কোলেস্টেরল কমায়
• শরীরের মেদ কমাতেও কাজ করে তেঁতুল
• পেটে গ্যাস, হজম সমস্যা, হাত-পা জ্বালায় তেঁতুলের শরবত খুব উপকারী
• খিদে বাড়ায়
• গর্ভাবস্থায় বমি বমি বমি ভাব দূর করে
• মুখের লালা তৈরি হয়
• তেঁতুল পাতার ভেষজ চা ম্যালেরিয়া জ্বর কমানোর জন্য ব্যবহৃত হয়
• শিশুদের পেটের কৃমিনাশক
• তেঁতুল ক্যান্সারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে সাহায্য করে
• পাইলস্ চিকিত্সার জন্য ব্যবহার করা হয়
• মুখে ঘাঁ ও ত্বকের প্রদাহ সারাতে সাহায্য করে
• তেঁতুল রক্ত পরিস্কার করে
• বাত বা জয়েন্টগুলোতে ব্যথা কমায়
• ভিটামিন সি-এর বড় উৎস
• পুরনো তেঁতুল খেলে কাশি সারে
• পাকা তেঁতুলে খনিজ পদার্থ অন্য যে কোনো ফলের চেয়ে অনেক বেশি
• খাদ্যশক্তিও রয়েছে প্রচুর পরিমাণে





চিরতা-ভেষজ দাওয়াই


চিরতা বীরু জাতীয় গাছ। এর স্বাদ তেতো। নানা ধরনের রোগ প্রতিরোধে চিরতা কার্যকর।

উপকারিতা
*ডায়রিয়া ও লিভারের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে চিরতার পানি ব্যবহৃত হয়।

*ইনফ্লুয়েঞ্জা হলে ৫ থেকে ১০ গ্রাম চিরতা চার কাপ পানিতে সিদ্ধ করে দুই কাপ করুন। এরপর ওই পানি ছেঁকে সকালে অর্ধেক এবং বিকেলে অর্ধেক করে খেতে দিন। জ্বর ভালো হয়ে যাবে।

*অ্যালার্জিতে শরীর ফুলে উঠলে চিরতার পানি খেলে উপকার পাবেন। রাতে পাঁচ গ্রাম চিরতা ২৫০ মিলিলিটার গরম পানিতে ভিজিয়ে রেখে পরের দিন সকালে ওই পানি দু-তিনবারে খান; অ্যালার্জি কমবে।

*গঘন ঘন বা জ্বরের কারণে বারবার বমি হয়ে পেটে কিছুই থাকে না। সে ক্ষেত্রে দুই কাপ গরম পানিতে পাঁচ গ্রাম চিরতা একটু থেঁতো করে ভিজিয়ে রাখুন। দু-তিন ঘণ্টা পর ছেঁকে পানিটা অল্প অল্প করে খান; সমস্যা থাকবে না।

*হাঁপানির প্রকোপ বেশি হলে আধা গ্রাম চিরতা গুঁড়া তিন ঘণ্টা পর পর মধু মিশিয়ে দুই থেকে তিনবার অল্প অল্প করে চেটে খান; হাঁপানির প্রকোপ কমবে।

*কৃমির উপদ্রব হলে ২৫০ থেকে ৫০০ মিলিগ্রাম পর্যন্ত চিরতা অল্প মধু বা একটু চিনি মিশিয়ে খান; কৃমি কমবে। এ ছাড়া কৃমির কারণে যদি পেটে ব্যথা হয়, তাও সেরে যাবে।

*যেকোনো ধরনের চুলকানিতে ২০ গ্রাম চিরতা অল্প পানি দিয়ে ছেঁকে লোহার কড়াইয়ে সরিষার তেল গরম করে তাতে ভাজুন, যেন পুড়ে না যায়। এরপর নামিয়ে ছেঁকে অল্প অল্প করে নিয়ে চুলকানিতে ঘষে ঘষে লাগান। তিন দিনের মধ্যে চুলকানি কমে যাবে।

*চুল পড়ে যাওয়ায় তিন গ্রাম চিরতা এক কাপ গরম পানিতে ভিজিয়ে রেখে পরের দিন সেই পানি ছেঁকে মাথা ধুয়ে ফেলুন। চুল পড়ে যাওয়া কমবে। তবে এক দিন পর পর চার দিন চুল ধুতে হবে। এ ছাড়া ২৫ গ্রাম চিরতা ফুল ২০০ গ্রাম নারিকেল তেলে ভেজে ওই তেল মাথায় ব্যবহার করুন। খুশকি বা স্কাল্পে কোপনো সমস্যা থাকলে সেরে যাবে।



 বাংলাদেশে বাড়ছে স্তন ক্যান্সার


বাংলাদেশে পুরুষদের মধ্যে ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্তের হার সবচেয়ে বেশি, অন্যদিকে নারীদের মধ্যে ক্যান্সার স্তন ক্যান্সারে আক্রান্তের হার তুলনামূলক বেশি। ২০০৮ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত জাতীয় ক্যান্সার ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালে (এনআইসিআরএইচ) আসা রোগীদের তথ্য বিশ্লেষণে পাওয়া এই তথ্য শনিবার এক সেমিনারে তুলে ধরেন ইন্সটিটিউটের সহকারী অধ্যাপক হাবিবুল্লাহ তালুকদার।

এই গবেষণায় দেখা যায়, ওই তিন বছর যে নারীরা ক্যান্সারের চিকিৎসায় হাসপাতালে এসেছেন, তাদের মধ্যে ২৬ শতাংশই ছিলেন স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত। এরপর জরায়ুর ক্যান্সারে আক্রান্তের হার সবচেয়ে বেশি, ২১ শতাংশ। পুরুষদের মধ্যে অন্তত ২৮ শতাংশ হাসপাতালে এসেছেন ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে। আর পুরুষদের মধ্যে কণ্ঠনালির ক্যান্সারে আক্রান্তের হার ছয় শতাংশ। ২০০৮-২০১০ সময়ে মোট ৪৬ হাজার ১১০ জন রোগী জাতীয় ক্যান্সার ইন্সটিটিউটে চিকিৎসা নিতে আসেন, যাদের মধ্যে ২৭ হাজার ২৮১ জনের ক্যান্সার ধরা পড়ে। এই রোগীদের মধ্যে ৫৬ দশমিক ১ শতাংশ পুরুষ আর ৪৩ দশমিক ৯ শতাংশ নারী।

সেমিনারে বলা হয়, ফুসফুস ক্যান্সারের আক্রান্তদের মধ্যে যাদের বয়স ১০ বছর বা তার বেশি, তাদের মধ্যে ৭৮ দশমিক ৪ শতাংশ পুরুষই কোনো না কোনো সময়ে ধূমপান করেছেন, এবং তখনও ধূমপান চালিয়ে যাচ্ছিলেন এমন রোগীর হার ৬৩ দশমিক ৯ শতাংশ। আর নারীদের ক্ষেত্রে এই হার যথাক্রমে ৩ দশমিক ৫ শতাংশ ও ৩ দশমিক ৩ শতাংশ। এক সময় আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নারীদের মধ্যে স্তন ক্যান্সারে আক্রান্তের হার বেশি থাকলেও বাংলাদেশে জরায়ু ক্যান্সারের হার বেশি ছিল। তবে সাম্প্রতিক এই সমীক্ষার ফলাফলে সেই চিত্র পাল্টে গেছে।
 






 দাগ তোলার সহজতম উপায়

৭টি বিচ্ছিরি জেদি দাগ তোলার সহজতম উপায়

বিয়ে বাড়ি বা অন্য দাওয়াতে আপনার সবচাইতে প্রিয় পোশাকটি পরে গেলেন, কিন্তু সেই পোশাকেই মাংসের ঝোল পড়ে সাধের জামার একদম বারোটা বেজে গেল। অথবা চায়ের কাপটা উল্টে গিয়ে বেড শিটে বিশ্রী দাগ পড়ে গেল আচমকা। এরকম বিভিন্ন দাগের সমস্যায় আমরা প্রায়ই নাজেহাল হই। যেমন, তেল-ঝোলের দাগ, চায়ের দাগ, লিপস্টিক কিংবা পানের পিকের বিচ্ছিরি দাগ। তবে এখন আর চিন্তার কিছু নেই। লন্ড্রিতে দৌড়াতে হবে না, বাড়িতেই খুব সহজে এইসব জেদি দাগের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। আসুন জেনে নেই উপায়গুলো ।

তেলের-ঝোলের যন্ত্রণা-

কাপড়ে খাবার পড়ে তেলের দাগ হয়ে গেলে দাগের জায়গাটিতে ট্যালকম পাউডার ছড়িয়ে দিন। ওই অংশটির ঠিক নিচের দিকে একটি ব্লটিং পেপার রাখুন। এবার আরও কিছুটা পাউডার নিয়ে দাগের জায়গাটিতে ভালো করে ঘষে লাগান। এতে দাগ অনেকটাই উঠে যাবে। বাকি হলুদ ভাব তোলার জন্য ডিটারজেন্ট পানিতে ঘন করে গুলে নিয়ে দাগের উপর মাখিয়ে কাপড়টা রোদে শুকাতে দিন। কিছু সময় পর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন, দাগ উঠে যাবে ।

কার্পেটে খাবার পড়ে গেলে-

কার্পেটে খাবার পড়ে দাগ হলে ১ টেবিল চামচ সাদা ভিনিগার ২ কাপ হালকা গরম পানিতে গুলে নিয়ে দাগের জায়গাটায় স্প্রে করুন, তারপর পরিষ্কার শুকনা কাপড় দিয়ে ঘষে মুছে নিন। দেখবেন দাগ উঠে যাবে ।

চা কফির বিচ্ছিরি দাগ-

বিছানার চাদর, টেবিল ক্লথে চা বা কফি পড়ে গেলে চট জলদি কিছুটা ট্যালকম পাউডার দাগের জায়গাটায় ছিটিয়ে দিন। ২-৩ ঘণ্টা এভাবেই রেখে দিন, এতে পাউডার চায়ের দাগ টেনে নেবে । তারপর সাবান পানি দিয়ে কাপড়টি ধুয়ে ফেলুন ।

লিপস্টিকের জেদি দাগ গুলো-

কাপড়ে অনেক সময় লিপস্টিকের দাগ লেগে যায়, যা সহজে উঠতে চায় না । লিপস্টিকের দাগ তোলার জন্য গ্লিসারিন দিয়ে দাগের উপর কিছু সময় ঘষে নিয়ে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন, দাগ ম্যাজিকের মতো উধাও হয়ে যাবে।

পানের পিক-

জামা কাপড় থেকে পানের পিকের দাগ তুলতে দাগের তলায় এক টুকরা পুরানো কাপড় রেখে আলু দিয়ে দাগের জায়গাটি ঘষে নিন, দাগ সহজে উঠে যাবে ।

যে কোনো দাগে মুলতানি মাটি-

ভিনিগার আর মুলতানি মাটির মিশ্রণ কাপড়ের যে কোনো দাগ তোলার জন্য দারুন উপকারী। মিশ্রণটি দাগের উপর লাগিয়ে নিন, শুকিয়ে গেলে ভেজা কাপড় দিয়ে ঘষে তুলে ফেলুন ।
 




শীতকালে পিঠে ব্যাথা

শীতের দিনে খুব কমন একটি স্বাস্থ্য সমস্যা হলো পিঠে ব্যাথা। এই সমস্যায় ছেলে-বুড়ো সবাই কমবেশি ভুগে থাকে। অনেকে ব্যাথার তীব্রতা সহ্য করতে না পেরে ডাক্তারের শরণাপন্ন হোন। কিন্তু এটি একটি সাময়িক সমস্যা। তাই ভয় পাওয়ার কিছু নেই।

তবে অতিরিক্ত ব্যাথা হলে ডাক্তারকে দেখিয়ে নিশ্চিত হয়ে নেয়াই ভালো।

শীতের দিনে বাইরের তাপমাত্রা কম থাকায় আমাদের দেহের মাংসপেশীগুলো দেহের তাপমাত্রা ধরে রাখার জন্য সংকুচিত হয়। এ কারণেই ব্যাথার উদ্রেক হয়। তবে তাপমাত্রা বেড়ে গেলে ব্যাথা এমনিতেই কমে যায়। রোদে বসলে বা গরম সরিষার তেল মালিশ করলে অনেকের আরাম হয়।

পিঠে ব্যাথা হওয়ার আর একটি মূল কারণ শরীরে ভিটামিন ডি এর অভাব। এই ব্যাথা সবসময়ই হতে পারে, তবে শীতকালে ব্যাথার তীব্রতা বেড়ে যায়। এক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শে ভিটামিন ডি ক্যাপসুল খাওয়া যেতে পারে।

এছাড়া প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার যেমন দুধ, ডিম, মাছ-মাংসের হাড় ইত্যাদি রাখতে হবে। ৪৫ উর্ধ বয়স্ক মহিলাদের ভিটামিন ডি এর অভাবে হাড়ক্ষয় শুরু হয় । তাই আগে থেকে এই ব্যাপারে সর্তক থাকলে তা কমিয়ে আনা সম্ভব।
 






No comments:

Post a Comment